জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত

Spread the love

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তার বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। সোমবার (১২ মে) এই হামলা চালানো হয়।মিয়ানমারের ছায়া সরকার জানায়, সোমবার বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত এলাকার একটি স্কুলে হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও বেশ কিছুদিন আগে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল।

ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) পরিচালিত এই স্কুলটি মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেপায়িনে অবস্থিত। মান্দালয় থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে। ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

এনইউজি মুখপাত্র নে ফোন ল্যাট বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে, ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।’


২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের পর থেকে মিয়ানমার সংঘাতে জর্জরিত।


রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক বাহিনী শাসন পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত সংখ্যালঘু সেনাবাহিনী এবং এনইউজি-র সাথে যুক্ত একটি প্রতিরোধ আন্দোলনের লড়াইয়ে তারা একের পর এক তাদের অবস্থান হারিয়েছে।


রয়টার্সের পক্ষ থেকে জান্তার একজন মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

গত সপ্তাহে, জান্তা সরকার ঘোষণা করে যে, ভূমিকম্প-পরবর্তী যুদ্ধবিরতি ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ভূমিকম্পের কয়েকদিন পরে, এপ্রিলের শুরুতে তারা প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও মিয়ানমারের কিছু অংশে সামরিক বিমান হামলা এবং কামান হামলা অব্যাহত ছিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *