কোটি টাকার বাড়ি।বিলাসবহুল গাড়ি বাইক।জীবনযাপন কোনও কোটিপতির থেকে কম নয়।আঙুলে সোনার আংটি,ব্র্যান্ডেড কোম্পানির সানগ্লাস,ঘড়ি।জনপ্রিয় আবার সোশ্যাল মিডিয়ায়।পেশায় মহিলা পুলিশ কনস্টেবল। একজন মহিলা কনস্টেবলের এত টাকা কোথা থেকে আসে?অবাক হত গোটা নেটপাড়া।তার ইউনিফর্ম পরে এলাহি কায়দা মন কাড়তো নেটিজেনদের। বহু ফলোয়ার্স ছিল তার ‘থার ওয়ালি কনস্টেবল ‘ অ্যাকাউন্টে।সেই মহিলা পুলিশই গ্রেফতার হলেন হিরোইন পাচারের অভিযোগে।হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এত টাকা,বিলাসবহুল জীবন আসতো বেআইনি মাদক পাচার করেই।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক আফসানা খানের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইনস্টা কুইন তথা কনস্টেবল অমনদীপকে। তিনি আফসানার বোন রফতার কাউরের বন্ধু বলে জানা গিয়েছে। ভাটিন্ডায় ১ কোটি টাকার বাড়ি রয়েছে অমনদীপের। ভাটিন্ডারই ড্রিম সিটিতে তিনি ১৯ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন। একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি ও বাইক রয়েছে ‘ইনস্টাগ্রাম ক্যুইন’-এর। তার মধ্যে রয়েছে মহিন্দ্রা থার, রয়েল এনফিল্ড মোটর সাইকেল। সূত্রের খবর, গাড়ি ও বাইক ছাড়াও এক লক্ষ টাকা দামের একটি হাতঘড়ি, ৫৬ হাজার টাকার দামের তিনটি ফোন উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ লক্ষ টাকা।তদন্তকারীদের দাবি, সাত বছরে ১.৮৮ কোটি টাকা আয় করেছেন আমনদীপ। অন্যদিকে ব্যয় করেছেন ১.৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট আয়ের অতিরিক্ত ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। গত মাসে অমনদীপের গাড়ি থেকে ১৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছিল।