টাক মাথায় কৃত্রিম চুল (যেমন: উইগ, হেয়ার উইভিং, হেয়ার সিস্টেম বা হেয়ার প্যাচ) লাগানো হলে কিছু ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, বিশেষ করে যদি সঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হয় বা নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করা হয়।
নিচে সম্ভাব্য ক্ষতির তালিকা দেখে নিন-
১. ত্বকে অ্যালার্জি বা সংক্রমণ: কৃত্রিম চুল লাগাতে যে আঠা, টেপ বা ক্লিপ ব্যবহার করা হয়, তা ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘসময় স্কাল্প বাতাস না পেলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।
২. হেয়ার পুলিং: কৃত্রিম চুল যদি খুব টাইট করে লাগানো হয় (বিশেষ করে হেয়ার উইভিং বা বেঁধে লাগানো হলে), তাহলে সেটা আসল চুলের গোড়ায় টান পড়ে। এতে নতুন চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৩. চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া: নিয়মিত আঠা বা টেপ ব্যবহারে চুলের গোড়া দুর্বল হয়, যা ভবিষ্যতে আরও চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
৪. ঘাম জমে স্ক্যাল্পে সমস্যা: মাথার ত্বকে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে ঘাম জমে খুশকি, চুলকানি ও দুর্গন্ধ হতে পারে।
৫. মানসিক নির্ভরশীলতা: একবার কৃত্রিম চুলে অভ্যস্ত হয়ে গেলে অনেকে আর প্রাকৃতিক চেহারায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এটি আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে।
সতর্কতা ও পরামর্শ-
১. ভালো মানের, স্কিন-ফ্রেন্ডলি কৃত্রিম চুল ব্যবহার করুন।
২. একজন ডার্মাটোলজিস্ট বা ট্রাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করুন।
৩. নিয়মিত চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন।
৪. মাথা মাঝে মাঝে “ব্রিথ” করতে দিন — প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা না পরে মাঝে মাঝে খুলে রাখুন।