মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের বেশ কয়েকজন মিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশংসা করে একটি চিঠিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার অনুরোধ জানানোর পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলো।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘চরম উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছে। তারা বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের এতদিনের কড়া নীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অথচ জেনারেলদের এইসব মিত্ররা ২০২১ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
কেন এই নিষেধাজ্ঞা কেন তুলে নেয়া হলো তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বা হোয়াইট হাউস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সেনাশাসকদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশংসা করে একটি চিঠিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার অনুরোধ জানানোর কয়েকদিন পরই এই সিদ্ধান্ত এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারের যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে, তারা হলেন—কেটি সার্ভিসেস অ্যান্ড লজিস্টিকস ও এর প্রতিষ্ঠাতা জনাথন মিও কিয়াও থাং, এমসিএম গ্রুপ ও এর মালিক আউং হ্লাইং, সানটেক টেকনোলজিস ও এর মালিক সিত তাইং আউং এবং সেনা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি টিন লাত মিন।

২০২২ সালে কেটি সার্ভিসেস ও জনাথন মিও কিয়াও থাংকেকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে বাইডেন প্রশাসন। বাকিদেরও মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা খাতে সংশ্লিষ্টতা এবং সেনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হওয়ার কারণে ২০২২-২৪ সালের মধ্যে নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।