ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ‘কঠিন পরিস্থিতিতে’ পাকিস্তান

Spread the love

পাকিস্তানের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বুধবারের (১৮ জনু) বৈঠকটিকে এক ধরনের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে উপস্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু এ নিয়ে আছে বিপরীতমুখী প্রশ্নও।

বাইডেন সরকারের সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট যেখানে একটি ফোন কলও পাননি, সেখানে এখন হোয়াইট হাউসে সরাসরি বৈঠক হচ্ছে, যা স্পষ্টভাবেই একটা অগ্রগতি।

কিন্তু এই বৈঠক এমন এক সময় হলো, যখন ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবছেন এবং পাকিস্তান যা শুরু থেকেই সমর্থন করেনি।

ট্রাম্প সমর্থন করছেন ইসরাইলকে, যার কর্মকাণ্ডকে পাকিস্তান বলেছে ‘বর্বরোচিত’। একই সময়ে, পাকিস্তান ইরান থেকে প্রায় তিন হাজার নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে একটি বড় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় ব্যস্ত। 

বিবিসির প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্প-আসিম মুনিরের বৈঠকটি দুই ঘণ্টা ধরে হলেও তার কোনো অংশ ক্যামেরাবন্দি করা হয়নি।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তবে কী আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ওঠে কিছু ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্ন।

এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রশ্ন ছিল, ‘ওই কক্ষে কি কোনো বেসামরিক রাজনীতিক ছিলেন?’ এরপর প্রশ্ন ছিল, ‘তাহলে আমরা কি গণতান্ত্রিক দেশ?’ হালকা হাস্যরসের মধ্যে মুখপাত্র জবাব দেন, ‘পাকিস্তান নিঃসন্দেহে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।’ 

এরপর পাকিস্তানি ফিল্ড মার্শালের বৈঠক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে বিদেশি সাংবাদিকদের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে যেতে বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *