ট্রাম্প-ইলন মাস্কের দ্বন্দ্ব সত্যি নাকি সাজানো?

Spread the love

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুনের ইলন মাস্কের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইলন মাস্ক ডেমোক্রেট প্রার্থীদের অর্থ সহায়তা দিলে তাকে গুরুতর পরিণতির হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই দ্বন্দ্ব সত্য নাকি সাজানো, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কিউঅ্যানন ও অন্যান্য ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীরা বলছেন, ইলন মাস্ক বনাম ট্রাম্পের এই দ্বন্দ্ব আসলে ডেমোক্র্যাটদের ফাঁদে ফেলার কৌশল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলা-স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের মধ্যে সম্প্রতি শুরু হওয়া বিবাদ এখন প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে প্রকাশ্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে। 

এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মাস্ক যদি ডেমোক্রেট প্রার্থীদের জন্য অর্থায়ন করেন, তবে তাকে খুবই গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, তিনি আর মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাজেট বাঁচাতে মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি চুক্তি ও ভর্তুকি বাতিল করা হতে পারে। যদিও শনিবার তিনি জানান, সে বিষয়ে এখনো কিছু ভাবেননি। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি ও হুমকি দিয়েছেন মাস্ক ও ট্রাম্প। মাস্ক একাধিক পোস্টে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, এমনকি একটি পোস্টে প্রয়াত অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের অতীত সম্পর্ক উল্লেখ করে কটাক্ষ করেন। যদিও সে পোস্টটি পরে মুছে ফেলেন মাস্ক। ট্রাম্প সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটা পুরোনো খবর।

এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ষড়যন্ত্র তত্ত্বও মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এটি একটি ‘কেফ্যাব, যা রেসলিংয়ের ভাষায় একটি সাজানো লড়াই। কিউঅ্যানন ও অন্যান্য ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীরা বলছেন, ইলন মাস্ক বনাম ট্রাম্পের দ্বন্দ্ব মূলত ডেমোক্র্যাটদের ফাঁদে ফেলার কৌশল। এ কৌশলে তারা জেফ্রি এপস্টেইনের গোপন ফাইল প্রকাশের দাবি তুলতে পারবেন। 

তাত্ত্বিকের মতে, মাস্ক ও ট্রাম্প আসলে একসঙ্গে এই নাটক সাজিয়েছেন গণমাধ্যম ও ডেমোক্র্যাটদের বিভ্রান্ত করতে। ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিক ফোনকল করে নিজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন এবং পুরো ঘটনার নিয়ন্ত্রণ নিজের দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *