ট্রাম্প-জিনপিং ফোনালাপ

Spread the love

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে বাণিজ্য ও শুল্ক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব অবসানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এপির প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরপর এক বার্তায় তিনি বলেছেন, জিনপিংয়ের সাথে তার কথোপকথন ‘খুবই ইতিবাচক’ ছিল। তিনি আরও জানান, শুল্ক ও বিরল খনিজ পদার্থের বিশ্বব্যাপী সরবরাহ নিয়ে অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষ শিগগিরই বাণিজ্য আলোচনা শুরু করবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটা ট্রাম্পের প্রথম ফোনালাপ। ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আমাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি দল শিগগিরই একটি নির্দিষ্ট স্থানে আলোচনায় মিলিত হবে।’

সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, জিনপিং ‘সদয়ভাবে’ তাকে এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে চীনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তিনিও জিনপিংকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার (৪ জুন) সকালে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেন, ‘আমি চীনের প্রেসিডেন্ট শিকে পছন্দ করি এবং সবসময়ই করে এসেছি। তবে তিনি অত্যন্ত কঠোর এবং তার সাথে চুক্তি করা ভীষণ কঠিন।’ 

ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক গঠনে আমাদের নীতিমালা ও অবস্থান বরাবরই একই রয়েছে।’

চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার জবাবে চীন পাল্টা মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসায়। 

তবে গত মে মাসে উভয়পক্ষই সাময়িকভাবে উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়। যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর জন্য শুল্ক কার্যকর স্থগিত রাখলেও চীনের ক্ষেত্রে তা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *