“তুই কোথায় চলে গেলি সোনা?”মেয়ের ছবির বুকে জড়িয়ে কাঁদছেন বিমানসেবিকার মায়।এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে মোট ২৩০ জন আরোহী ছিলেন, তাদের মধ্যে মাত্র একজন ছাড়া বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। এই নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন বিমানসেবিকা, যাঁদের পরিবারে এখন শুধুই হাহাকার।হাঁটু মুড়ে মেঝেতে বসে অস্থিরভাবে মেয়ের অ্যালবাম উল্টে চলেছেন মা। একবার মেয়ের চাকরির প্রথম দিনের ছবি, তো আরেকবার ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার ছবি দেখিয়ে মেয়েকে ফিরে পেতে হাপুস নয়নে কেঁদে চলেছেন।
বছর ২০ এর নগনথই শর্মা ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। যেদিন মেয়ে চাকরি পেয়েছিল, সেদিন গোটা পরিবারে খুশির সীমা ছিল না। বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরও নগনথইয়ের মা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। “যে মেয়ের সঙ্গে সকালেই কথা হলো, কী করে তাঁর সঙ্গে এমন হতে পারে?” বার বার অ্যালবাম খুলে মেয়ের ছবি দেখতে দেখতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি। মুখে শুধু একটাই কথা, “কোথায় গেলি আমার সোনা মা! এই হাতে করে তোকে মানুষ করেছি। ফিরে আয় আমার কাছে।”

পাশাপাশি একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয় অভিশপ্ত বিমানে।সদ্য চাকরি ছেড়ে আসা মহিলা চিকিৎসক তার ডাক্তার স্বামী প্রতীক জোশী ও তার ছোট দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে লন্ডনে যাচ্ছিলেন পাকাপাকিভাবে থাকতে।বিমানে উঠে শেষ সেলফি তুলে আত্মীয়দের পাঠান প্রতীকবাবু।সেই ছবিই যে শেষ নিজস্বী হবে তা দু:স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ডাক্তার দম্পতি।পাশাপাশি রাজস্থানে সদ্য বিয়ে হওয়া খুশবু রাজপুরোহিতও জানতো না তার আর স্বামীর সাথে সংসার করা হবে না।আরও জানা গেছে, বিজয় রূপাণীর পরিবার লন্ডনে থাকে। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলিবেন প্রায় ৬ মাস ধরে লন্ডনে রয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় তাঁকেই আনতে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিলেন, কিন্তু বিমান উড়ানের পর দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণ যায়। রূপাণীর আসন নম্বর ২ডি বলে জানা গেছে।