তৃণমূলী পঞ্চায়েতের ‘রেট’ হাজারে ৩০ টাকা?

Spread the love

গরুপাচার নিয়ে এরাজ্যে অভিযোগ, পলটা অভিযোগ, তদন্ত, গ্রেফতারি কম হয়নি। আর, এবার অভিযোগ উঠল গরু কেনাবেচায় কাটমানি আদায় করার! কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাস্থল সুন্দরবনের গোসাবা থানার অন্তর্গত শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতলি বাজারের রবিবারের হাট!

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এই বেলতলি বাজারে প্রতি সপ্তাহে দু’বার – বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে। এর মধ্যে রবিবারের হাটে গরু কেনাবেচা করা হয়। তথ্য বলছে, সুন্দরবন এলাকায় এটিই সবথেকে বড় হাট। আশপাশের তো বটেই দূরদূরান্ত থেকেও ব্যবসায়ী, চাষি, পশুপালকরা গরু কেনাবেচা করতে এখানে আসেন। পসার ভালোই। আর, তাতেই নাকি নজর পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েতের।

সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য বলছে, সাদা কাগজে পঞ্চায়েতের নামে বিল ছাপানো হয়েছে। কিন্তু, সেই বিলে পঞ্চায়েতের সিলমোহর বা পঞ্চায়ত প্রধানের স্বাক্ষর – কিছুই নেই! অথচ, গরু কিনলেই সেই বিলে রসিদ কেটে তোলা বা কাটমানি আদায় করা হচ্ছে!

হিসাব হল – গরু কিনলে প্রতি ১,০০০ টাকা দামে ৩০ টাকা কাটমানি দিতে হবে! অর্থাৎ – যদি ধরে নেওয়া হয়, একটি গরুর দাম অন্তত ২০,০০০ টাকা, তাহলে পঞ্চায়েতের নামে ছাপানো বিলে কাটমানি দিতে হবে -৬০০ টাকা! স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, এই ‘ব্যবস্থাপনায়’ গরু কেনাবেচা করতে গিয়ে তাঁদের বিস্তর লোকসান হয়ে যাচ্ছে।

যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তোলাবাজ বা কাটমানি আদায়কারী সীতেশ প্রামাণিক। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এই ব্যক্তি নাকি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়! তাঁর দাবি, ‘বাজারের উন্নয়নের জন্য এই টাকা তোলা হচ্ছে! সবটাই আইন মেনে হচ্ছে! অনেক সময় গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় গরু কারবারিরা রাস্তায় সমস্যার মুখে পড়েন। সেই কারণেই পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একটি রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তাঁরা কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *