তৃণমূল কর্মীই বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতা

Spread the love

একদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁর ছবি। ভারতের ভোটার তালিকায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তাঁর ছবি ও নাম। অন্যদিকে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে। ফের একবার কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় খোঁজ পাওয়া গেল বাংলাদেশি ভোটারের। তৃণমূলের দাবি, যুবক যে বাংলাদেশি তা তাদের জানাই ছিল না। ওদিকে অভিযুত্তের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে তিনি ভারতের ভোটার। ২০২৪ সালে সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজে বাংলাদেশে গিয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

নিউটন দাসের সঙ্গে TMCPর সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস দাসের ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নিউটনের জন্মদিনে কেক কাটার অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে দেবাশিসকে। কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ প্রামাণিক নিউটনকে খুব ভালো ছেলে বলে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। দেবাশিসের দাবি, ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে পড়তেন তাঁরা। সেই সূত্রেই বন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটার অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি।

যদিও নিউটনের দাদা তপন দাসের দাবির সঙ্গে সেকথা মিলছে না। নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করে তপনবাবু জানিয়েছেন, আমার ভাই ২০২০ সালে করোনার পরে পড়াশুনো করতে আমার কাছে এসেছিল। এখন সে কোথায় থাকে আমি জানি না। কী করে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় উঠল তাও জানা নেই।

নিউটনের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ভারতের ভোটার তিনি। ২০১৭ সালে তাঁর ভোটার কার্ডটি হারিয়ে যায়। তখন স্থানীয় বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার সাহায্যে ২০১৮ সালে আবার ভোটার কার্ড বানান তিনি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে গিয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তাঁর ভিডিয়ো। কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম নিউটনকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন।

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কাকদ্বীপে এরকম বহু বাংলাদেশির নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। এরাই তৃণমূলের হয়ে ভোট করায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এদের মধ্যে যারা CAAর অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তাদের নাগরিকত্ব দেবে। বাকিদের অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *