তৃণমূল সমর্থকরা হামলা করলে পুলিশ কিছু বলছে না! আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করছে!

Spread the love

তাঁদের যাঁরা মারছেন, হেনস্থা করছেন, সেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। অথচ, চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের উপরেই লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। কেন শুধুমাত্র চকরি হারানো আন্দোলনকারীদের প্রতিই পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা? এই প্রশ্ন তুলেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করার আবেদন জানালেন বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের একাংশ।

আজ (সোমবার – ১৯ মে, ২০২৫) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মর্মে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার অনুমতি চাওয়া হয়। বিচারপতি ঘোষ সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বুধবার মামলার শুনানি হতে পারে।

আবেদনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলনে হামলা চালাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা। তাঁরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের মারধর করছেন। কিন্তু, পুলিশ সেই হামলাকারীদের ধরেনি। উলটে, দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং সুদীপ কোনারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে! তাঁদের অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এই আচরণেরও বিরোধিতা করেছেন আবেদনকারীরা।

তাঁরা আদালতকে আরও জানিয়েছেন, আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন শিক্ষককে নোটিশ পাঠিয়ে থানায় তলব করা হয়েছে। তাঁদের এই সপ্তাহে বিভিন্ন সময়ে বিধাননগর উত্তর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, সরকারি কর্মীদের হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা উল্লেখ করে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। এরও প্রতিবাদ করেছেন আবেদনকারীরা।

এদিকে, সোমবার – সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন যাতে ফের নতুন করে বিকাশ ভবনের সামনে বা ওই চত্বরে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের সবক’টি গেটে পুলিশ পাহারা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবনে ঢোকার মূল বড় ফটকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশের ছোট গেট দিয়ে কর্মীদের পরিচয়পত্র দেখে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ভিজিটরদেরও বিকাশ ভবনে আসার কারণ জিজ্ঞেস করে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখেই তবে ছাড়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *