তেজস্বীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন ওয়েইসি

Spread the love

‘বাবু, চরমপন্থী কথাটা ইংরেজিতে লিখে দেখাও তো?’ আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে পাল্টা গর্জে উঠলেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। চলতি মাসেই বিহারে শুরু হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

আগামী সপ্তাহেই বিহারের কিষাণগঞ্জে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে সেখানে দাঁড়িয়ে তেজস্বীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ‘যে আপনার সামনে মাথা নত করে না…আসনের জন্য ভিক্ষা করে না…যে আপনার বাবাকে (অর্থাৎ, লালু প্রসাদ যাদবকে) ভয় পায় না…আপনার তাঁকে কাপুরুষ মনে হয় তাই তো? আমার মুখে দাড়ি আর মাথায় টুপি…এটাতেই আমাকে উগ্রবাদী বলে মনে হয়? এত ঘৃণা আপনার মনের মধ্যে?’ এখানেই শেষ নয়, এক্স হ্যান্ডেলে আরজেডি নেতার সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করে মিম প্রধান বলেন, ‘আমি তো গর্বের সঙ্গে আমার ধর্ম অনুসরণ করি। কিন্তু তেজস্বী আসলে পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।’

কী বলেছিলেন তেজস্বী যাদব?

আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে কেন জোট করেনি আরজেডি? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেজস্বী যাদবকে এই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে লালু-পুত্র বলেন, ‘ওয়াইসি একজন চরমপন্থী…একজন ধর্মান্ধ…একজন সন্ত্রাসবাদী।’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষোভ উগরে দেন ওয়াইসি। তাঁর মতে, তিনি তাঁর ধর্ম গর্বের সঙ্গে অনুসরণ করেন বলে তাঁকে অপমান করেছেন তেজস্বী। এই অপমান তাঁর একার নয়, তাঁর মতো ধর্মানুরাগী সকলকেই অপমান করেছেন আরজেডি নেতা বলে অভিযোগ ওয়াইসির। এর আগে ওয়েইসি অবশ্য বিজেপি বিরোধী বিহারে বিরোধীদের মহাগঠবন্ধনে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। লালুপ্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবকে এআইএমআইএম-এর শীর্ষ নেতৃত্ব তিনটি চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু তার সদুত্তোর মেলেনি। ফলে একলা চলার নীতি নিয়েছেন ওয়েইসি। সেই সময় এনডিটিভি-কে ওয়েইসি বলেন, ‘লালু প্রসাদ যাদবকে দু’টি এবং তেজস্বী যাদবকে একটি এবং শেষ চিঠি লিখেছিলাম। বিহারে আমরা ছয়’টি আসন লড়ার জন্য প্রস্তুত। বদলে বলেছিলাম আমার দলকে একটি মন্ত্রিত্বও দিতে হবে না। এরপর আমরা আর কী করতে পারি…।’

মূলত সংখ্যালঘুরাই এআইএমআইএম-এর ভোটব্যাঙ্ক। ২০২০ বিধানসভায় বিহারে আচমকায় শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে আসে ওয়েইসির দল। রাজ্যের ২৫টি আসনে লড়াই করে সীমাঞ্চল এলাকায় পাঁচটি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল এআইএমআইএম। একাধিক আসনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোটই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। পরে অবশ্য এআইএমআইএম এর পাঁচ বিধায়কের চারজনই আরজেডিতে যোগ দেন। একমাত্র অবশিষ্ট বিধায়ক আখতারুল ইমামই এখন দলের রাজ্য সভাপতি। এবার ফের সীমাঞ্চলকে টার্গেট করছে ওয়েইসির দল। যদিও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওয়েইসির দল বিহারে কোনও আসন জিততে ব্যর্থ হলেও সীমাঞ্চলের ভোটব্য়াঙ্ক ধরে রেখেছি দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *