গরুবোঝাই গাড়িচালকের কাছ থেকে দাবি মতো তোলা না পেয়ে তাড়া করল পুলিশ। আর তারফলে রেষারেষিতে মৃত্যু হল ৯ টি গরুর। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানে। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় ৯টি গরুর মৃত্যু ছাড়াও, আহত হলেন তিন পুলিশকর্মী-সহ একাধিক ব্যক্তি। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি গাড়ি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্তব্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়কের যান চলাচল।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কুমারডাঙা এলাকায়, শক্তিগড় ও মেমারি থানার সীমানায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড় থানার পুলিশ একটি গাড়িতে টহল দিচ্ছিল। তখনই চোখে পড়ে কলকাতাগামী একটি গরুবোঝাই ট্রাক। অভিযোগ, ট্রাকচালকের থেকে কিছু তোলা নেন পুলিশকর্মীরা, কিন্তু তারা আরও টাকা দাবি করলে বচসা শুরু হয়। এরপর ট্রাকচালক গাড়ি স্টার্ট দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই শুরু হয় পুলিশের পিছু ধাওয়া। প্রায় কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশের গাড়ি সামনে এসে ট্রাকের পথ আটকে দেয়। আচমকা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে পুলিশের গাড়িতে। এরপর সেই গরুবোঝাই ট্রাকের পেছনে থাকা একটি পাথরবোঝাই লরিও এসে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের তীব্রতায় তিনটি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ট্রাকটিতে থাকা ২৭টি গরুর মধ্যে ৯টির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকিরা জখম হয়েছে। আহত হয়েছেন তিন জন পুলিশকর্মী-সহ আরও কয়েকজন। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। পরে অন্য একটি পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ঘটনার পর থেকেই উত্তাল স্থানীয়রা। অনেকের অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার মূল কারণ পুলিশের তোলা আদায়ের চেষ্টা। তাদের কথায়, তোলা না দিলে গাড়ি ছাড়ে না পুলিশ। সেই কারণেই ৯টি গরুর প্রাণ গেল।যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফাই, ‘কে কাকে তাড়া করল, কিভাবে কী ঘটলসবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের অভিযোগ তোলা সহজ, তদন্তই সত্য বলবে। তবে স্থানীয়রা পুলিশের দিকেই আঙুল তুলছেন।