থাইল্যান্ডের গ্রামে তৈরি বাজিকে ভারতীয় ড্রোন বানাল পাকিস্তান

Spread the love

ভারতের কাছে বেআব্রু হয়ে গিয়ে উদ্ভট-উদ্ভট যুক্তি বের করছে পাকিস্তান। সেইসব কথা শুনে যে কোনও সুস্থ মানুষের কিডনিতেও হার্ট-অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে। আর পাকিস্তানের সেই উদ্ভট কাণ্ড-কারখানায় যুক্ত হয়ে গেল ‘থাই জিরান্ডোলা’-র নাম। কারণ একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলের (সাংবাদিকদের একাংশ) তরফে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতীয় ড্রোন নাকি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। আর যে বস্তুটিকে পাকিস্তানের একটি মহলের তরফে ভারতীয় ড্রোন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটা নেহাতই ‘গোবেচারা’ ঘূর্ণায়মান আতসবাজি বলে জানিয়েছেন তথ্য যাচাইকারী সংস্থা অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের। যা থাইল্যান্ডে ‘থাই জিরান্ডোলা’ নামে পরিচিত। সাধারণত কোনও উৎসব উদযাপনের জন্য সেই ঘূর্ণায়মান বাজি তৈরি করা হয়। সেটি অত্যন্ত জনপ্রিয়ও।

আর পাকিস্তানের একটি মহলের তরফে যখন সেইসব দাবি করা হচ্ছে, তখন উত্তেজনার জন্য ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে ইসলামাবাদ। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফাকত আলি খান বলেছেন যে ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যুদ্ধের কাছাকাছি চলে এসেছে।’

পাকিস্তানই উস্কানি দিয়েছে, স্পষ্ট কথা ভারতের

যদিও ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে উস্কানি দিয়েছে পাকিস্তান। আর পালটা হিসেবে ভারত প্রত্যাঘ্যাত করেছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি স্পষ্ট জানিয়েছেন, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে, সেটাই উস্কানি ছিল। যে ঘটনায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর ছায়া সংগঠন দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্টের হাত ছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তারপরও পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব।

‘অপারেশন সিঁদুর’-র পরই জঙ্গিদের জন্য ব্যাকুল পাক

আর পালটা হিসেবে গত ৭ মে (ইংরেজি মতে) রাতের দিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গি শিবির। পাকিস্তানি সেনার কোনও প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ মানুষের উপরে কোনওরকম আক্রমণ চালানো হয়নি বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত।

অথচ তারপরও ভারতে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে তো জম্মু, উধমপুর এবং পাঠানকোট সামরিক ছাউনিকে টার্গেট করে ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালায়। তাতে আরও বেআব্রু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে প্রতিহত হয়েছে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র। আর তারপরই নিজেদের মুখ বাঁচানোর জন্য পাকিস্তানিদের একাংশ যে চেষ্টা করেছিল, তাতে কোনও লাভ তো হল না। উলটে বেইজ্জত হতে হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *