দক্ষিণেশ্বর স্টেশন দেখিয়েছিল পাক ‘চর’ জ্যোতি

Spread the love

২০২৪ সালের ২২ মে নিজের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে (ট্রাভেল উইথ জো) একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল জ্যোতি। তাতে দাবি করেছিল যে নয়াদিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে হাওড়ায় এসেছিল। হাওড়ায় নামার পরে হলুদ ট্যাক্সিতে চেপে কলেজ স্ট্রিট হয়ে শিয়ালদা স্টেশনে যাওয়ার ভিডিয়ো দেখিয়েছিল। তারপর শিয়ালদা স্টেশনে এসি ডরমেটরি বুক করার দৃশ্য দেখিয়েছিল।

দু’দিন পরে আরও একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিল জ্যোতি। ২৪ মে’র সেই ভিডিয়োর প্রথমটা শুরু হয়েছিল শিয়ালদা স্টেশনের ঠিক বাইরে থেকে। এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দাবি করেছিল যে তিনি নাকি পশ্চিমবঙ্গেরই ছেলে। তাঁর সঙ্গে ট্যাক্সিতে করে পার্ক পার্কাসের একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানি দোকানে যাওয়ার ভিডিয়ো করেছিল জ্যোতি। আরও কোথাও গিয়েছিল কিনা, তা অবশ্য দেখানো হয়নি।তারপর ওই ভিডিয়োয় জ্যোতি দাবি করেছিল যে শিয়ালদা থেকে বিকানের দুরন্ত এক্সপ্রেস ধরেছে। তবে দুরন্ত এক্সপ্রেসের টিকিট কনফার্ম হয়নি বলে দাবি করেছিল। আরএসিতে গিয়েছিল। আর শিয়ালদা থেকে ট্রেন ছাড়ার পরে নিজের ভিডিয়োয় বিধাননগর স্টেশন, দমদম স্টেশন, দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মতো জায়গার ছবি দেখিয়েছিল। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন পেরিয়ে যে ব্রিজ পড়ে, সেটাও দেখিয়েছিল জ্যোতি।

আর যে সময় কলকাতায় আসার এবং কলকাতা থেকে চলে যাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল জ্যোতি, ততদিন নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মী দানিশের সঙ্গে পরিচিতি গড়ে উঠেছিল জ্যোতির। চলতি বছরের ১৬ মে হরিয়ানার হিসারের সিভিল লাইনস থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরের বয়ান অনুযায়ী, দু’বার পাকিস্তানে গিয়েছিল জ্যোতি।হরিয়ানা পুলিশের মতে, জ্যোতিকে ‘সম্পদ’ হিসেবে তৈরি করছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। তবে জ্যোতির কাছে সরাসরি ভারতের সামরিক বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ছিল না বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে। তারপরও তাকে যে ‘সম্পদ’ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছিল, সেটা আধুনিক যুগের যুদ্ধের একধরনের কৌশল। যে কৌশলের মাধ্যমে পাকিস্তানের নামে জোর করে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *