দাদাবৌদির বিরিয়ানি টার্গেট? নাকি দক্ষিণেশ্বর নাকি শিয়ালদহ স্টেশন? পরের জঙ্গি হামলা কোথায় হবে জ্যোতির সাহায্যে টার্গেট ঠিক করা হচ্ছিল।বাংলায় ছক কষা হচ্ছিল তা পরিষ্কার।
গোটা বাংলা দাপিয়ে বেড়িয়েছে পাক গুপ্তচরের সাথে যুক্ত থাকা জ্যোতি।এমনকি দাদাবৌদি বিরিয়ানিতে ঢুকে বিরিয়ানি খেয়ে সমস্ত আপডেট দিয়েছিল সে।এছাড়াও শিয়ালদহ, হাওড়া,দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে সমস্ত ভিডিও করেছিলেন গুণধর জ্যোতি। ব্যারাকপুরে গিয়ে সেনা ছাউনিগুলো রেইকি করেছিল সে।
তার মানে কি কলকাতাতেও জঙ্গি হামলার ছক কষা হচ্ছিল? কলকাতার সব বড় বড় জায়গা জ্যোতির নখদর্পনে। কোথায় কতটা ভিড় সমস্ত কিছুর আপডেট দিচ্ছিল সে।কলকাতায় ধর্মীয় স্থানগুলোও বাদ পড়েনি জ্যোতির লিস্টে।
২০২৪ সালের ২২ মে নিজের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ট্রাভেল উইদ জো-তে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল জ্যোতি। তাতে দাবি করেছিল যে নয়াদিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে হাওড়ায় এসেছিল। হাওড়ায় নামার পরে হলুদ ট্যাক্সিতে চেপে কলেজ স্ট্রিট হয়ে শিয়ালদা স্টেশনে যাওয়ার ভিডিও দেখিয়েছিল।

দু’দিন পরে আরও একটি ভিডিও আপলোড করেছিল জ্যোতি। ২৪ মে’র সেই ভিডিওর প্রথমটা শুরু হয়েছিল শিয়ালদা স্টেশনের ঠিক বাইরে থেকে। এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দাবি করেছিল যে তিনি নাকি পশ্চিমবঙ্গেরই ছেলে। তাঁর সঙ্গে ট্যাক্সিতে করে পার্ক পার্কাসের একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানি দোকানে যাওয়ার ভিডিও করেছিল জ্যোতি। জ্যোতি দাবি করেছিল যে শিয়ালদা থেকে বিকানের দুরন্ত এক্সপ্রেস ধরেছে। তবে দুরন্ত এক্সপ্রেসের টিকিট কনফার্ম হয়নি বলে দাবি করেছিল। আরএসিতে গিয়েছিল। আর শিয়ালদা থেকে ট্রেন ছাড়ার পরে নিজের ভিডিয়োয় বিধাননগর স্টেশন, দমদম স্টেশন, দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মতো জায়গার ছবি দেখিয়েছিল। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন পেরিয়ে যে ব্রিজ পড়ে, সেটাও দেখিয়েছিল জ্যোতি।এছাড়াও জ্যোতি সুন্দরবনে যায়,সেখানকার সমস্ত ভিডিও পৌঁছে দেয় পাক গুপ্তচরদের ডেরায়।হরিয়ানা পুলিশের মতে, জ্যোতিকে ‘সম্পদ’ হিসেবে তৈরি করছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা।