৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। স্ত্রীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে অনেক কথাবার্তা বলতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকে দিলীপের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কিছুটা অংশ পোস্ট করা হয়েছিল। জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি দিলীপ ঘোষ ফুল বদল করছেন?
তবে আজ সকালেই দিলীপ ঘোষ ফিরলেন নিজের ছন্দে। এর আগে গতকাল জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও ফেসবুকে পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তোপ দেগেছিলেন দিলীপ। তবে দিঘার মন্দিরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, এই দর্শন রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তিনি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নিজের বন্ধু বলেও সম্বোধন করেছিলেন। পরে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে দল থেকে এর আগে তাঁকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার বিষয়ে বারণ করতে কেউ ফোন করেছিল কি না, তা জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল। দল থেকে অফিশিয়ালি কেউ আমাকে মানাও করেনি, স্বাগতও জানায়নি।’ এদিকে নিজের এই অবস্থানকে বাম জমানার প্রতাপশালী মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যারা স্বতন্ত্র, স্বাভিমানী রাজনীতি করে, পার্টি তাদের দেখেই চলে। সুভাষ চক্রবর্তী বামফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তিনি লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে আসতেন, নেতারা ব্রিগেডে ভাষণ দিতেন। কারও লোক আনার ক্ষমতা ছিল না। পার্টিতে ঈর্ষা থাকবেই। পার্টির কর্মীরা কার উপরে ভরসা করেন, কে লড়তে শিখিয়েছে, কে জিততে শিখিয়েছে, এটা দেখতে হবে। কারও সঙ্গে কথা বললেই যদি পার্টি থেকে চলে যাওয়া হয়, ওই নীতিকে রাজনীতিকভাবে ঘৃণা করি।’