দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম করা নিয়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। এরই মধ্যে সোমবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে যে তারা ‘শ্রীমন্দির’, ‘জগন্নাথ ধাম’ এবং ‘মহাপ্রসাদ’-এর মতো শব্দগুলির জন্য পেটেন্টের আবেদন করবে।
সোমবার পুরীতে মন্দির পরিচালন কমিটির বৈঠকে বলা হয়, শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন ‘শ্রীমন্দির’, ‘জগন্নাথ ধাম’, ‘মহাপ্রসাদ’, ‘শ্রীমন্দিরের লোগো’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘পুরুষোত্তম ধাম’-এর মতো শব্দগুলির পেটেন্টের জন্য আবেদন করবে। এসজেটিএ-র চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অরবিন্দ পাধি জানিয়েছেন, আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধি বলেন, ‘জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্রতা, ঐতিহ্য সম্পর্কিত এই শব্দগুলি পেটেন্ট করা হবে। মন্দিরের অনন্য পরিচয় সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি আইনি পদক্ষেপ হবে এটি। ভগবান জগন্নাথদেবের সঙ্গে যুক্ত পবিত্র পরিভাষার নির্বিচারে ব্যবহার রুখতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

গত এপ্রিল মাসে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরকে ‘জগন্নাথ ধাম’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এর জেরে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছিল তাঁর। তৈরি হয় বিতর্ক। কারণ হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী পুরীর সাথে ‘ধাম’ যুক্ত হয়ে থাকে। আদি শঙ্করাচার্যের চারটি ধামের (পুরী, বদ্রীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম) মধ্যে অন্যতম এটি।
এই আবহে পুরীর অভিযোগ, দিঘার মন্দিরের সঙ্গে ‘ধাম’ শব্দটি ব্যবহার করায় পুরীর অনন্য আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এদিকে পুরীর মন্দিরে হিন্দু ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। কিন্তু দিঘার মন্দিরে অ-মুসিলম বা বিদেশিরাও প্রবেশ করতে পারেন। এই আবহে দিঘার মন্দিরের সঙ্গে ‘ধাম’ জুড়ে যাওয়ায় বিতর্ক আরও বেড়েছে।