দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। সেখানে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন। একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে নানা আলোচনা করলেন। এই ছবি সম্প্রচার হওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতারাই দিলীপ ঘোষের মুণ্ডপাত করতে শুরু করেন। তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু দিলীপ ঘোষ দমে যাননি। তিনিও পাল্টা সাংবাদিকদের সামনে ওইসব নেতার নাম না নিয়ে উচ্ছিষ্ট, একাধিক সম্পর্ক এবং কার্বলিক অ্যাসিড–সহ চোখা চোখা বিশেষণ ব্যবহার করেন। এবার আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করে বসলেন তিনি।
কিন্তু কীসের আমন্ত্রণ করলেন দিলীপ? এই বিজেপি নেতা সদ্য বিয়ে করেছেন। কিন্তু রিসেপশন বলতে তেমন কিছু হয়নি। বিয়ের দিন একটা খাওয়াদাওয়া হয়েছিল ঠিকই তবে সেটা বিয়ের খাওয়া। রিসেপশন আলাদা করে করার বিষয়টি বাকি রয়ে গিয়েছে। এই পর্বটিকে দিলীপ ঘোষ নাম দিয়েছেন—‘বিবাহোত্তর সংবর্ধনা’। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ বলে সূত্রের খবর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে যেন আবার একটি বোমা পড়ল।
এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যদি যান তাহলে সেটাও রাজ্য–রাজনীতিতে সাইক্লোন বইয়ে দেবে। কিন্তু দিলীপ ঘোষ সৌজন্য রেখেছেন। তাই পাল্টা সৌজন্য রাখা উচিত তাঁদেরও বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু ঘোষের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা মে মাসেই শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে হবে বলে সূত্রের খবর। ওই রিসেপশন পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং হেভিওয়েট নেতা–নেত্রীকে বলে সূত্রের খবর।

এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আকর্ষণ মমতা–অভিষেকই। যদি তাঁরা যান তবেই সেটা হবে সেদিন ব্রেকিং নিউজ। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষও এখন কিছু জানাননি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘দিলীপবাবু পৃথকভাবে রিসেপশন করছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সাংসদ ভাইপোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেটা ঘটার পর আবার ঝড় উঠবে।’ এখন দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বাড়ছে বিতর্ক। অন্যদিকে আবার এমন একটা ঘটনা ঘটলে কেমন প্রভাব পড়বে তা বোঝাই যাচ্ছে। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখছেন বিজেপির বেশ কয়েকজন এখনকার ও প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক।