দিলীপ-জায়া রিঙ্কুর ২৭ বছরের তরুণ ছেলের রহস্য মৃত্যুর পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট

Spread the love

মঙ্গলবার এল বড় দুঃসংবাদ। মায়ের বিয়ের মাস ঘোরার আগেই, রহস্যমৃত্যু হল দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম দাশগুপ্তের। ঠিক কী কারণে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ‘ড্রাগের ওভারডোজ’, ‘আত্মহত্যা’র মতো একাধিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালে চলছে ময়নাতদন্ত। সম্পূর্ণ ভিডিয়ো ফুটেজ রেখেই, চলছে ময়নাতদন্ত।

এদিকে, দিলীপ-পুত্রের মৃত্যুর পরই একটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট আসে অভিনেত্রী অহনা দত্তের মা চাঁদনীর ফেসবুকে। তিনি নিজেও মা। তাই হয়তো সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আরও বেশি করে বিঁধেছে তাঁকে। যদিও এই পোস্টে কারও নাম নেননি চাঁদনী।

অহনার মা ফেসবুকে লেখেন, ‘ভালো থাকার অধিকার সবার আছে, কিন্তু একটা বয়েসের পর অনেককিছু ভাবতে হয়, লাল টুকটুকে কনে না সেজে নিরবে নিভৃতে ভালবাসা যায় না কি?’ সঙ্গে আরও লিখেছেন, ‘অনেক সময় অনেক ভাল কিছু কিন্তু না করাই ভাল। সকলের মনের জোর এক না।’

সত্যিই কি অবসাদে ভুগছিলেন সৃঞ্জয়? পুলিশ সূত্রে খবর, যে ঘরে প্রীতম থাকতেন সেই ঘরে খাটের উপর শায়িত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিছানার পাশে ছিল, একাধিক ওষুধের পাতা। মা রিঙ্কু বিয়ে করে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সৃঞ্জয় সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন।

রিঙ্কু সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, ছেলের কলিগরা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, একা বাড়িতে থাকতে মন খারাপ করত সৃঞ্জয়ের। যদিও তিনি যখনই ছেলেকে প্রশ্ন করতেন, জবাব আসত, তিনি ঠিক আছেন।

রিঙ্কু এদিন কান্নাভেজা স্বরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। আমাকে বুঝতে দেয়নি। আমি বুঝতে পারছিলাম খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমি আজকেই (দিলীপ ঘোষকে) বলতাম, দেখো আমি ছেলেকে এখানে নিয়ে আসব, নয়তো আমাকে ছেলের সঙ্গে থাকতে হবে। মাদার্স ডে সেলিব্রেট করতে আসল আমার বাড়িতে। কেক নিয়ে আসল। আমিও গিয়েছিলাম ওর সঙ্গে থাকতে…’

রিঙ্কু আরও জানান যে, ‘তোরা তো ফ্ল্য়াটে গিয়ে মা বাবাকে দেখতে পাস, আমি তো পাই না– কলিগদের বলত ও (ছেলে)। মনে মনে একটা স্বপ্ন ছিল আমার সঙ্গে থাকবে। আমি বললাম তোকে নিয়ে আসব।’ সঙ্গে ছেলে নিউরোর সমস্যা থাকার কথাও মেনে নেন। জানালেন, তিনিই ছেলেকে ওষুধ দিতেন। তবে দিলীপকে বিয়ে করে চলে আসার পর থেকে, ছেলে ওষুধও খাচ্ছিল না ঠিকঠাক করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *