ইসরাইলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও এখনো সবচেয়ে বিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ রেখেছে ইরান। সামরিক বিশ্লেষকদের দাবি, নতুন প্রজন্মের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এখনো ব্যবহার করেনি তেহরান।সম্প্রতি ইসরাইলের হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা। জবাবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-র অংশ হিসেবে দফায় দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি ও কৌশলগত অবকাঠামো।
তবে এই হামলার মধ্যেও ইরানের মূল শক্তি এখনো রয়ে গেছে অন্তরালে। তেহরানভিত্তিক তাসনিম নিউজ জানায়, নতুন প্রজন্মের ‘হজ কাসিম’ ও ‘খোররমশাহর’-এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এখনো ব্যবহার করা হয়নি।
সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে তার চূড়ান্ত অস্ত্র গোপন রেখেছে—যাতে চাপ প্রয়োগে সক্ষম হয়।

ইরানি হামলার কৌশল চূড়ান্তভাবে দুর্বল করে দিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দিনে ও রাতে আক্রমণ, একসঙ্গে অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের সংমিশ্রণ সব মিলিয়ে ইসরাইলের নিরাপত্তা কাঠামোকে করেছে অকার্যকর। হামলার মাত্রায় অনেকটা হতভম্ভ হয়ে পড়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
তবে সামরিক বিশ্লেষকদের দাবি, ইরান এখন পর্যন্ত তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কয়েকটি নতুন প্রজন্ম উন্মোচনই করেনি। চূড়ান্ত শক্তি ব্যবহার না করে তারা কেবল বার্তা দিচ্ছে যে অধিকৃত অঞ্চলের কোথাও দখলদার ইসরাইলিরা নিরাপদ নয়।
দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশোধের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তেহরান ধাপে ধাপে আঘাত হানছে, আর বিস্ময়ের জায়গা রেখে দিচ্ছে ইসরাইলি প্রশাসনের জন্য।