দেবলীনার ‘চণ্ডালিকা’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ মমতার

Spread the love

সম্প্রতি সোশ্যাল মাধ্যমে ড্যান্স বাংলা ড্যান্সের একটি অ্যাক্টের ক্লিপ দারুণ ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে এক প্রতিযোগী অনুষ্কার সঙ্গে পারফর্ম করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। তাঁদের দু’জনের সাজ পোশাক দেখেই বোঝা যায় যে তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চণ্ডালিকা’ পরিবেশন করছেন। কিন্তু সেখানে নেই চণ্ডালিকার কোনও গান বা সংলাপ। আছে বলিউডের গান ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে কয়ি…’। আর তারপর থেকেই এই নাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

তবে এই নাচটি যে দিন উপস্থাপনা করা হয়, সেদিনের পর্বে অভিনেত্রী তথা নৃত্য শিল্পী মমতা শঙ্করও উপস্থিত ছিলেন। আর সেই কারণে তাঁকেও নানা কটূক্তির শিকার হতে হয়। ক্রমাগত তাঁর দিকে ধেয়ে আসে বাক্যবাণ। এবার তাই নিয়েই মুখ খুললেন মমতা।

তিনি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ডান্স বাংলা ডান্সে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি সব সময় ওঁদের বলে দিই যে আমি বিচারক হয়ে যাব না। কারণ প্রতিযোগিতা বিষয়টাই আমার মতে সঙ্গে মেলে না। কিন্তু কয়েকটা জায়গায় এমন হয় যে আমাদের কাজের সূত্রে সেখানে যেতে হয়, বলা ভালো নিজেদের স্বার্থে যেতে হয়। তবে টাকা পয়সা লেনদেন বা নাম কেনার জন্য নয়। না গেলে অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়, যেটা কাম্য নয়। কিন্তু ডান্স বাংলা ডান্সের সেদিনের পর্ব দেখে আপনারা যতটা বিরক্ত হয়েছেন। যতটা আমার উপর হতাশ হয়েছেন, তার থেকে বেশি বিরক্ত কিন্তু আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না আমি কীভাবে আপনাদের সামনে প্রমাণ করব যে, সেখানে ওই চণ্ডালিকা দেখে কী বলেছিলাম। সেখানে সবাই ছিলেন। সবার সামনে আমি বলে ছিলাম, ‘এটা আমার একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না। এটা ঠিক নয়। এই গানের সঙ্গে চণ্ডালিকার কোনও সম্পর্ক নেই। এটার পিছনে কোনও যুক্তি হয় না।’ এমন কী ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা অনেকেই আমার সঙ্গে সহমত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে আমার কথাটা পুরো বাদ দেওয়া হয়।’

তাঁর কথায়, ‘আপনারা আমাকে দেখেছেন। আপনারা যাঁরা আমাকে একটু হলেও বিশ্বাস করেন, আমার উপর আস্থা রাখেন তাঁরা জানেন আমি নিজের বিশ্বাস থেকে আমার কথা বলি। আমি সেটা নিয়ে ভাবি না যে, এটা শুনে কে কী মনে করবেন। যদিও ডান্স বাংলা ডান্সে বলা আছে বাচ্ছাদের সেভাবে কিছু বলা যাবে না। এক্ষেত্রে বাচ্ছাদের কোনও দোষ নেই। কিন্তু যাঁরা কোরিওগ্রাফার তাঁদের কিন্তু আমরা বলতেই পারি। আমি প্রথম চণ্ডালিকা দিয়েই শুরু করেছিলাম, আপনারা এত ভালোবাসা দিয়েছিলেন, এখনও দিচ্ছেন, সেখানে আমি এটাকে ভালো বলব? এখানে আমার কথাটা পুরো বাদ দেওয়া হয়। এখানে আমি কী করে সকলকে বোঝাবো যে, এটাকে আমি সমর্থন করিনি। আমার স্কুলের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা জানে আমি কী পছন্দ করি আর করি না। সেখানে যদি তাঁদের অভিভাবকরাও এটা বিশ্বাস করেন যে আমি এই সব বলেছি তাহলে খুব ভুল হবে। আমি নিজের এত বড় ক্ষতি কীভাবে করব? আমি সব সময় বলি যে আমার কথাগুলো কাটবেন না। সেটা বলার পরও ওঁরা এটা করলেন। অন্য ভাবে এডিট করে দেওয়া হল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *