খুব শিগগিরই দেশ পেতে চলেছে তার প্রথম বুলেট ট্রেন। বহু প্রতিক্ষীত এই হইস্পিড রেল প্রজেক্ট দিল্লি থেকে আমদাবাদ পর্যন্ত ছুটবে। এই দুই শহরের মধ্যে আগে রেলপথে যেতে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগত। আর তা এবার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় এসে ঠেকবে বলে আশা। ইতিমধ্যেই দিল্লি-আমদাবাদ হাইস্পিড রেল করিডরের ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো।
দিল্লি-আমদাবাদের এই রুটের এই বুলেট ট্রেন পার করবে মোট ৮৭৮ কিলোমিটার রাস্তা। আর তা পার হবে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায়। যা আগে লাগত ১৪ ঘণ্টা। এই ট্রেন যাবে মরুরাজ্য রাজস্থানের মধ্য দিয়ে। সেখানে ৬৫৭ কিমির রাস্তা পার করবে ট্রেন। এই রাজস্থানের অন্দরে ৩৩৫ টি গ্রামের বুক চিড়ে চোখের নিমেষে দৌড়বে বুলেট ট্রেন।
জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের ৭ জেলার মধ্য দিয়ে এই ট্রেন যাবে। তার মধ্যে রাজস্থানের ৯ স্টেশন পড়বে। রাজস্থানের উদয়পুর, আজমেঢ়, জয়পুর, আলোয়ারের মতো শহরের ওপর দিয়ে যাবে এই দিল্লি-আমদাবাদ রুটের বুলেট ট্রেন। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি। রাজস্থানের যোধপুর রেলওয়ে ডিভিশনের আওতায় আপাতত এই রেলের ট্র্যাক তৈরির কাজ চলছে।
রিপোর্ট বলছে, এই গোটা পথে ৭৫ শতাংশই পড়ছে রাজস্থানে। আর রাজস্থানে যে যে জায়গায় বুলেট ট্রেনের জন্য স্টেশনের কথা ভাবা হচ্ছে, তা হল, উদয়পুর, দুঙ্গারপুর, ভিলওয়াড়া, চিতোরগড়, আজমেঢ়, কিষেণগড়, জয়পুর, আলোয়ার। তবে যোধপুরের কথা এক্ষেত্রে শোনা যায়নি। জানা যাচ্ছে বেশ কিছু টানেলের মধ্য দিয়ে এই ট্রেন যাবে। অন্যদকে, জানলায় চোখ রাখলেই রাজস্থানের একের পর এক গ্রামের দৃশ্য আসবে নজরে। ফলত, তা পর্যটকদেরও আকর্ষণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বুলেট ট্রেনের জন্য বাকি যে রুটগুলিতে সার্ভে চলছে, এবং ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে, সেগুলি হল, দিল্লি-বারাণসী, বারাণসী-হাওড়া, মুম্বই-নাগপুর, মুম্বই-হায়দরাবাদ,চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মাইসুরু, দিল্লি-চণ্ডীগড়-অমৃতসর রুট।