‘ধন্যবাদ দিদি’! পূর্ণম ফিরতেই লিখলেন দেবাংশু

Spread the love

বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ অবশেষে ফিরেছেন ভারতে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বড় জয়। দিনের পর দিন ধরে বিএসএফ পূর্ণমকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম কুমার সাউকে ভারতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য় হল পাকিস্তান।

২২দিন পরে সমস্ত উদ্বেগের অবসান। অবশেষে দেশে ফিরলেন পূর্ণম কুমার সাউ। পাক রেঞ্জার্স তাকে হস্তান্তর করে সীমান্তে। কার্যত ভারতের চাপের মুখে পড়ে পূর্ণমকে ছাড়তে বাধ্য় হল পাকিস্তান। পূর্ণম কুমার সাউয়ের স্ত্রী পাঞ্জাব পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। বিএসএফের প্রচেষ্টায় আগেই সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

তবে তৃণমূল নেতাদের দাবি, বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী তিন তিন বার ফোন করেছিলেন বাড়িতে। তিনি বলছিলেন সাত দিনের মধ্য়ে ফেরত আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কয়েকদিন ফোন করে খোঁজ করেছিলেন তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি। একাধিকবার বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী পূর্ণমের কুমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, অত্যন্ত আনন্দের খবর। উদ্বেগে ছিলেন সবাই। সবাই মিলে চেষ্টা চালিয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যোগাযোগ রেখেছিলেন। ওপরমহলের যারা আছেন সকলকে ধন্য়বাদ।

এদিকে মুক্তির কৃতিত্ব কার এনিয়ে ইতিমধ্য়েই দড়িটানাটানি শুরু হয়েছে।

পূর্ণমের মুক্তিতে কার কৃতিত্ব?

বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রীর?

তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই।

দেবাংশু ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, থ্য়াংকিউ দিদি।

এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পোস্টটিকে রিপোস্ট করেছেন তিনি।

তবে তারপরই নেটিজেনদের অনেকে বলছেন এর মধ্য়ে দিদিকে ধন্যবাদ দেওয়ার কী আছে!

এটার পুরো ক্রেডিট তো বিএসএফ-এর লিখেছেন অপর একজন।

বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের দাবি, অত্যন্ত খুশির দিন, সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দিল্লি থেকে ফোন করেছিলেন পূর্ণমের বাবাকে। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। পূর্ণম সাউয়ের বাবা শুভেন্দু অধিকারীকেও তাঁর বাড়িতে আসার জন্য় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

তবে সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে একের পর এক পোস্ট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন।

তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, অপারেশন সিঁদুর-এর গর্বিত সাফল্যের পর আরও একবার ভারতের কূটনৈতিক জয়!

বাঙালি বীর বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ-এর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন শুধুই একজন সৈনিকের মুক্তি নয়। এই ঘটনা সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করে দিল ভারতের দৃঢ় সংকল্প, সম্মান ও নেতৃত্বের বিজয়।

ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী সম্মাননীয় শ্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

আপনার অটল নেতৃত্ব এবং দূরদর্শী কূটনৈতিক কৌশলই আজ ভারতের প্রত্যেক সন্তানের জন্য নিরাপত্তা ও গর্ব নিশ্চিত করেছে।

এটাই মাননীয় নরেন্দ্র মোদীজির শাসন –

যেখানে একজন জওয়ানের গায়ে হাত পড়লে, দিল্লি জবাব দেয় বজ্রনিনাদে!

মোদীজির নেতৃত্বে ভারত আর নীরব থাকে না, ভারত প্রবল বিক্রমের সঙ্গে প্রত্যাঘাত করে।

ভারত শুধু ক্ষমা করে না, বরং ইতিহাস লেখে।

এবারও ভারত জিতেছে, কারণ আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী মাননীয় মোদীজি রয়েছেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *