ধুলিয়ান হিংসায় জড়িত নই! বরং আক্রান্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছি

Spread the love

নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ধুলিয়ানে দাঙ্গা করিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান মেহেবুব আলম। হাইকোর্টের গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে এমনই জানানো হয়েছে। আর তার জেরে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর। তবে মেহেবুব আলমের দাবি, দাঙ্গার সময় সেখানে ছিলেনই না তিনি। বরং ২টি পরিবারকে নিয়ে আত্মগোপন করে ছিলেন অন্য জায়গায়।

কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১১ এপ্রিল ধুলিয়ানে হিংসা শুরু করেছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান মেহেবুব আলম। এর পর বেতবোনা গ্রামে নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে দাঙ্গা করিয়েছেন তিনি। আক্রান্তদের বাড়িঘর ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর সামনেই। এমনকী আগুন নেভাতে যাতে জল ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কেটে দেওয়া হয় জলের লাইন।

চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগকে পত্রপাঠ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মেহেবুব আলম। সংবাজমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে কিছু দুষ্কৃতী ছেনি, তরোয়াল নিয়ে ছোটাছুটি করে। তাদেরকে বাধা দিতে গেলে আমাদের পিছু তারা তাড়া করে। আমরা প্রাণের ভয়ে নাদাকপাড়ায় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিই। বিকাশ সরকার ও মানিক সরকার তাদের পরিবারও আমার সঙ্গে ছিল। প্রায় চার ঘণ্টা থানার ওসিকে ফোন করলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। ফোন রিসিভও করেননি। ৪ ঘণ্টা আমি সেখানে আটকে ছিলাম। আমি ছিলাম নাদাকপাড়ায়, বেতবোনায় আমি কী করে আক্রমণ করলাম লোকজন নিয়ে?’

তাঁর দাবি, ‘আমার ফুটেজ দেখাক। যদি আমি গিয়ে থাকি যদি সত্য প্রমাণ হয় আমার ওয়ার্ডে যে কোনও জায়গায় আমাকে ফাঁসি দিক আমি ফাঁসির দড়ি গলায় পরে নিতে রাজি আছি। জলের ব্যবস্থা করেছি আমরা। আমরা বন্ধ করব এটা হয়? এত মিথ্যে, ডাহা মিথ্যে কথা বলা ঠিক না। এটা রাজনীতির শিকার করছে আমাদেরকে। কিন্তু এই মিথ্যা অভিযোগ টিকবে না।’

যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সেখানে হাজির ছিলেন মেহেবুব আলম। তাঁর নির্দেশেই ধুলিয়ানে হয়েছে হিংসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *