ধৃত বাংলাদেশি কীভাবে পেলেন ‘খাঁটি ভারতীয়’ ড্রাইভিং লাইসেন্স? 

Spread the love

একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কীভাবে বৈধ ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করলেন? কালীঘাটে বাংলাদেশি গ্রেফতারের ঘটনায় আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। একই প্রশ্নের উত্তর পেতে মাঠে নেমেছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারাও।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ কলকাতার সদানন্দ রোডে দুর্ঘটনার শিকার হন নেতাজিনগর থানার এএসআই সুষেণ দাস। তাঁকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। তাতে ওই পুলিশকর্মীর পা ভেঙে যায়। শরীরের অন্যান্য একাধিক জায়গায় চোট লাগে। বর্তমানে সেই পুলিশকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সেই ঘটনায় আজাদ শেখ নামে অভিযুক্ত গাড়িচালকের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, আজাদ শেখ উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। কিন্তু, তাঁর নথিপত্র খতিয়ে দেখতেই পুলিশ বুঝতে পারে, সেগুলির অধিকাংশই জাল এবং আজাদ শেখ আসলে বাংলাদেশি!

জানা গিয়েছে, বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই প্রায় দু’বছর ধরে আজাদ শেখ ভারতে বসবাস করছেন। সবথেকে বড় কথা, তাঁর কাছ থেকে যে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি পাওয়া গিয়েছে সেটি ‘খাঁটি ভারতীয়’! আর, সেটা দেখেই পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে। ঘুম ছুটেছে পরিবহণ দফতরের কর্তাদের। তাঁরা সকলেই বোঝার চেষ্টা করছেন, কীভাবে ওই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এত সহজেই ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করে ফেললেন!

কে তাঁকে এই বিষয়ে সাহায্য করল, নাকি তিনি নিজেই কোনওভাবে সেটি ‘ম্য়ানেজ’ করেছেন, করলে সেটা কীভাবে? আপাতত এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।

এদিকে,ইতিমধ্যেই ওই বাংলাদেশিকে হেফাজতে নিয়েছে কালীঘাট থানা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বহু বেসরকারি ড্রাইভিং স্কুল আবেদনকারীদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দেয়। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরিবহণ দফতরের লাইসেন্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে জানান, ‘কোথা থেকে লাইসেন্সটি করানো হয়েছে, সেই বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। কোনও ক্ষেত্রে যদি ত্রুটি ধরা পড়ে, তা সংশোধন করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *