শনিবারই মুম্বই বিমানবন্দরে আইএসআইএস-র ২ জঙ্গিকে পাকড়াও করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। প্রসঙ্গত, যে ২ জনকে ধরা হয়েছে, তারা বহু দিন ধরে পলাতক। ২০২৩ সালের একটি মামলায় এই দুই আইএসআইএস স্লিপার সেলের জঙ্গিকে ধরেছে এনআইএ। জানা যাচ্ছে শহরের বুকে বিস্ফোরক টেস্টিং এর একটি মামলায় এই দুই জঙ্গির নাম সেই বছর উঠে আসে। .
মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ধরা পড়েছে আবদুল ফায়াজ শেখ ও তাহলা খান। এরা দুজনেই নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএসর জঙ্গি। মুম্বই বিমানবন্দরে এই দুই জঙ্গিকে চিনে ফেলে ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন বিভাগ। তারপরই মুম্বই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ থেকে পাকড়াও করে এনআইএ। শুক্রবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে মুম্বই অবতরণ করতেই এদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২ বছর ধরে আবদুল্লা শেখ ও তালহা খান পলাতক ছিল। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তারা গা ঢাকা দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, এখন হঠাৎ কী কারণে মুম্বই এল তারা? এদিকে এই জুই জঙ্গির খোঁজ দিলে ৩ লাখ টাকার পুরস্কার মূল্য ঘোষণা আগেই করেছিল এনআইএ। আপাতত দুই জঙ্গি জামিন অযোগ্য ধারায় শ্রীঘরে রয়েছে! .জানা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ সলে কোনধাওয়াতে এরা একটি ভাড়া বাড়িতে বোমা বানানোর ও প্রশিক্ষণের ‘ওয়ার্কশপ’ আয়োজন করেছিল। সেবার তারা ‘IED টেস্ট ও ফ্যাবরিকেশন’ কেসে অভিযুক্ত হয়।
এই দুই জঙ্গিকে ঘিরে প্রকাশিত তথ্যে এনআইএ বলছে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা ঘিরে এই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও পুনের আইএসআইএস স্লিপার সেলের আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ বলেছে, ‘ধৃত জঙ্গিরা ষড়যন্ত্র করেছিল সন্ত্রাসী হামলার। যাতে ভারতের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এটা করা হচ্ছিল আইএসআইএসের ছত্রছায়ায় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পথে গিয়ে, হিংসা ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে।’ এদিকে, আবদুল্লা শেখ ও তালহা খান ছাড়া বাকি ধৃতদের মধ্যে ইউসুফ খান ও ইয়াকুব সাকিকে একটি গাড়ি চুরি মামলায় পুলিশ ধরেছিল। তাদের জেরা করে জানা যায় তারা জঙ্গি সংগঠন সুফার সদস্য।
মহারাষ্ট্রের এটিএসের কাছে বহু দিন ধরে ওয়ান্টেড ছিল আবদুল্লা শেখ ও তালহা খান। আবদুল্লার ডায়াপারের ব্যবসা ছিল। যার জেরে তার অপরনাম ‘ডায়াপারওয়ালা’। আর তালহা একজন তথ্য প্রযুক্তিকর্মী। কোনধাওয়াতে তাদের বাড়িতে তাদের না পাওয়া যেতেই এই দুজনের পরিবারেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তবে খোঁজ কিছুতেই মিলছিল না। শেখের বাবার একটি ওষুধের দোকান, মা গৃহবধূ। এটিএসের এক অফিসার বলছেন, তাঁদের থেকে সেভাবে কিছু জানা যায়নি। পরে এটিএসের থেকে তদন্ত যায় এনআইএর কাছে। সদ্য শুক্রবার রাতে ইমিগ্রেশন ধরে ফেলে২ জনকে, পরে তারা তুলে দেয় এনআইএকে।