নাতনির ছবি ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দাদু,ঠাকুমা। একমাত্র নাতনির brilliant রেজাল্ট দেখে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকছেন তারা।কারণ সেই বাচ্চা মেয়েটি আর নেই। কয়েকদিন আগেই না ফেরার দেশে মেধাবী থৈবি।অসহ্য পেটে যন্ত্রনা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েও তাক লাগানো সাফল্য।মাধ্যমিকে স্কুলের টপার সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪।ফলাফল জানার পর থেকেই মেয়ের ছবি হাতে অঝোরে কেঁদে চলেছেন আসানসোল উমারানি গড়াই স্কুলের ছাত্রী থৈবি মুখোপাধ্যায়ের পরিবার, পরিজন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
জানা যায়, চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় থৈবি। তবে তার আগেই ছাত্রীর জন্ডিস ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য ভেলোর ছুটে যান বাবা-মা। লিভার ট্রান্সফার করার খরচ ১ কোটি টাকা। চিকিৎসার জন্য সোশাল মিডিয়া থেকে অর্থ সাহায্য মেলে। কিন্তু তাতেও জোগাড় হয়েছিল ৪৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি থৈবিকে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছে থৈবির।

হাতে গোনা ১৭ দিনের মাথায় প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল। রেজাল্ট বলছে থৈবি স্কুলের টপার। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। বাংলায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। অংকে ৯৮, ফিজিক্যাল সায়েন্সে ৯৭, লাইফ সায়েন্সে ৯৮, ইতিহাস ৯৫, ভূগোল ৯৫। ফলপ্রকাশের পর থেকেই ছাত্রীর ছবি হাতে কেঁদে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। ভেঙে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।