নিজের উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট আর দেখতে পারল না সুজলি।মারণ রোগ তাকে চিরতরে নিয়ে চলে গেল।মা,বাবা আগেই তো ছেড়ে চলে গিয়েছিল,আর সেই দেশেই পাড়ি দিল ছোট মেয়েটি।মাত্র ১১ দিন বয়সে সে তার মাকে হারায়। বাবা অন্য মহিলার সাথে নতুন করে সংসার শুরু করেন, ছোট্ট সুজলির দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব নেন তার নিজের মামা।সুজলি পাত্র(Sujali Patra),উচ্চ মাধ্যমিকে ৩১৬ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে।তবে সেই রেজাল্ট আর দেখতে পেল না সে।স্বপ্ন ছিল দিদিমণি হওয়ার,সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল তার।

সুজলির জীবনের শুরু থেকেই ছিল কঠিন লড়াই। চন্দননগর কেএমডিএ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মামার বাড়িতেই বড় হচ্ছিল সুজলি। যখন সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল, সেই সময়ই তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রথমে ওভারিতে একটি টিউমার ধরা পড়লেও, অস্ত্রোপচারের পর জানা যায় সেটি ম্যালিগন্যান্ট ক্যানসারযুক্ত। সেই দিন থেকেই সুজলির কঠিন লড়াই শুরু হয় আর সেই লড়াই থেমে যায় ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল ।পড়াশোনায় সুজলি বরাবরই ভালো ছিল। স্কুলের দিদিমণিরাও তাকে খুব ভালোবাসতেন এবং তার পাশে ছিলেন। নিজেও দিদিমণি হওয়ার স্বপ্ন দেখত সে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন তার শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এনআরএস হাসপাতালের বেডে বসেই তাকে চারটি পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।তবুও শেষ রক্ষা হল না।ভাগ্নির অকালপ্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়েন মামা।এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।