নিজের নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডের উদ্বোধনে মনের গোপন কথাটি বলেই ফেললেন রোহিত শর্মা

Spread the love

শুক্রবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঞ্চে রোহিত শর্মাকে(Rohit Sharma) আবেগে ভাসছিলেন। তিনি তাঁর বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে চোখের জল আটকাতে পারেননি। কৃতজ্ঞতায় নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছিলেন পুত্র রোহিত। শুক্রবার ওয়াংখেড়েতে তাঁর নামাঙ্কিত স্ট্যান্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচিত হয়। সেই মুহূর্তে, রোহিত ক্রিকেটের সুপারস্টার ছিলেন না, তিনি হয়ে উঠেছিলেন এমন একজন পুত্র, যিনি তাঁর স্বপ্ন পূরণে তাঁর বাবা-মায়ের অসংখ্য ত্যাগ স্বীকারের কথা অনর্গল বলে চলেছিলেন।

শুক্রবার রোহিতের নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডের উদ্বোধন হয় সেই প্রেক্ষিতে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে রোহিত বলেন, ‘এটা আরও বিশেষ হতে চলেছে, আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই, স্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায়। ওরা আমার জন্য যা কিছু ত্যাগ স্বীকার করেছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

রোহিতের স্ত্রী রিতিকা সাজদে, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে, আবেগঘন মুহূর্তটিতে সিক্ত হয়ে গর্বের হাসি হাসছিলেন। রোহিত ছাড়াও আরও দুই কিংবদন্তি- প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক অজিত ওয়াদেকর এবং প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি শরদ পাওয়ারের নামে এই স্টেডিয়ামে স্ট্যান্ড রয়েছে। রোহিতের কাছে, এই মুহূর্তটি ছিল শৈশবের স্বপ্ন পূরণের মতো- ভারতীয় ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।

এই সম্মানে অভিভূত ছিলেন রোহিত। তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটতে চলেছে, আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। ছোটবেলায় আমি মুম্বইয়ের হয়ে, ভারতের হয়ে খেলতে চেয়েছিলাম। ক্রিকেটের সেরাদের মধ্যে নিজের নাম দেখতে পাওয়ার আনন্দ, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘এটাও বিশেষ কারণ, আমি এখনও খেলছি। আমি দু’টি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছি, কিন্তু আমি এখনও একটি ফর্ম্যাট খেলছি।’

খেলাধুলায় এত কিছু অর্জন করার পরেও, রোহিত তাঁর আরও একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিলেন যা এখনও অধরা। ওয়াংখেড়েতে ওয়ানডে খেলার ইচ্ছের কথা ইঙ্গিত করেন তিনি। বলেন, ‘যখন আমি ২১ তারিখ (আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে) খেলব, তখন এটা অসাধারণ হবে, আর যখন আমি এখানে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব, তখন সেটা বিশেষ হবে।’

উজ্জ্বল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পর রোহিত ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ খেলার কথা ভাবেন। যাইহোক ওয়াংখেড়ে তাঁর হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে- এখান থেকেই তাঁর ক্রিকেটীয় আকাঙ্ক্ষার সূচনা।

রোহিত বলেন, ‘আজ যা ঘটবে, তা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। আপনি অনেক মাইলফলক অর্জন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু এরকম কিছু সত্যিই বিশেষ, কারণ ওয়াংখেড়ে একটি আইকনিক স্টেডিয়াম এবং এখানে অনেক স্মৃতি তৈরি হয়েছে। পাওয়ার সাহেব এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে বিশেষ ধন্যবাদ, এটি একটি বিশেষ দিন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *