নিহত মাওবাদী নেতা ভাস্কর রাও! মাথার দাম ছিল ৪৫ লাখ টাকা

Spread the love

শুক্রবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার। তাঁর মাথার দাম ছিল ৪৫ লক্ষ টাকা। বিজাপুরের পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মাওবাদী নেতাদের নাম ভাস্কর রাও ওরফে মাইলারাপু আদেলু এবং মন্দুগুলা ভাস্কর রাও। বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, সংঘর্ষস্থল থেকে ভাস্কর রাওয়ের দেহ, একটি একে-৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় লুকিয়ে থাকা অন্য মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

আইজি জানিয়েছেন, তেলঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার উরুমাদালা গ্রামের বাসিন্দা ভাস্কর রাও। তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য মোট ৪৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ছত্তিশগড় সরকার ২৫ লক্ষ টাকা এবং তেলঙ্গানা সরকার ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তিনি সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির মাঞ্চেরিয়াল-কোমারম্ভীম (এমকেবি) বিভাগের সম্পাদক ছিলেন এবং বিশেষ জোনাল কমিটির (এসজেডসি) সদস্য ছিলেন। ভাস্করের মৃত্যুর ঠিক একদিন আগে, আরেক শীর্ষ মাওবাদী নেতা, সুধাকর ওরফে গৌতমকে খতম করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই সুধাকর ছিলেন সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাঁর কাছ থেকেও একটি একে-৪৭ রাইফেলও উদ্ধার করা হয়েছি। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিজাপুর জাতীয় উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হয়েছিলেন। এনকাউন্টারে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন (কোবরা) যৌথ অভিযান চালায়।

সুধাকর ওরফে গৌতমের মৃত্যুর একদিন পরই ভাস্করকে খতম করা হল। বস্তারে মাওবাদী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের আরও একটি বড় সাফল্য এটি। তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মাওবাদীদের ওপর এটি তৃতীয় বড় আঘাত। এর আগে গত ২১ মে নারায়ণপুর জেলার আবুজমাদ এলাকায় সিপিআই (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে খতম করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁর সঙ্গে আরও ২৫ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। সংগঠনের শীর্ষ নেতা বাসব রাজুকে ‘মাওবাদী আন্দোলনের মেরুদণ্ড’ বলে মনে করা হত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *