নীতি আয়োগের বৈঠকে CMরা কে কী বললেন?

Spread the love

৩৬ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩১ টি যোগ দিয়েছিল সদ্য দিল্লিতে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু আবেদন জানান। বহু বিষয় নিয়ে হয় চর্চা। মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য সেখানে ‘বিকশিত ভারত’র লক্ষ্যে পৌঁছানোর রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

নীতি আয়োগের বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ঐক্যে বেঁধে ‘টিম ইন্ডিয়া’ হয়ে চলার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে উঠে আসে সদ্য পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার জবাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ র প্রসঙ্গ। নীতি আয়োগের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,’ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে আমাদের নাগরিক প্রস্তুতির (সিভিল প্রিপেয়ার্ডনেস) পদ্ধতি আধুনিকীকরণ করতে হবে। তিনি বলেন যে সাম্প্রতিক মক ড্রিলগুলি নাগরিক প্রতিরক্ষার প্রতি আমাদের মনোযোগ পুনরায় জাগিয়ে তুলেছে, রাজ্যগুলির উচিত নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়া।’ এরই সঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’ মুখ্যমন্ত্রী এবং এলজিরা অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করেছেন, এর নির্ভুলতা এবং লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য, যার ফলে সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে, তার প্রশংসা উঠে আসে। এক কণ্ঠে, তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব এবং সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের প্রশংসা করেছেন।’

মুখ্যমন্ত্রীদের কার কী দাবি?

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে, ২,২০০ কোটির ফান্ড ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযান’র জন্য দেওয়ার দাবি জানান। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর শাসকদল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভাষা-যুদ্ধে রাজনৈতিক আঙিনায় আপাতত জোরদার লড়াইতে রয়েছে। সেই দলেরই নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এদিন, কেন্দ্রীয় কর-এর ৫০ শতাংশ শেয়ার রাজ্যগুলির জন্য দাবি করেন। এদিকে, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখ্খু, দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক অবস্থায় তুরস্কের ও আজারবাইজানের আপেল যেন ভারতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখা হয়। তিনি বলেন,’ আমদানি করা আপেলের কারণে আমাদের বাগানের দাম কমে যাওয়ার ফলে লোকসান হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলেছি, আমি তুরস্ক এবং আজারবাইজান থেকে আসা আপেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধও করেছি। তিনি (পিএম) বলেন যে আপেল আমদানির ফলে হিমাচল প্রদেশের বাগান মালিকদের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে তিনি নজর রাখবেন।’

উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের ১০ম কাউন্সিলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য যোগ দেয়নি। এই বৈঠকে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নানান বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই বৈঠকে পঞ্জাবের তরফে ভাগবন্ত মান বলেন,’ শতদ্রু-যমুনা লিংক (SYL) খালের পরিবর্তে, একটি যমুনা-শতদ্রু লিংক (YSL) খাল তৈরির প্রস্তাব করা উচিত।’ তিনি বলছেন,’রবি, বিয়াস এবং শতদ্রু নদীতে ইতিমধ্যেই জলের ঘাটতি রয়েছে। উদ্বৃত্ত জল থেকে ঘাটতিযুক্ত অববাহিকায় জল সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’ ভাগবন্ত মানের যুক্তি,যে যদি হরিয়ানা রবি এবং বিয়াসের জল দাবি করে, তাহলে যমুনার জলের উপর পাঞ্জাবের সমান অধিকার রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *