নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মোদী

Spread the love

২২ এপ্রিল পাহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েকদিনে। এরই মধ্যে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এপি সিং। পাহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এর ‘বদলা’ নিতে বদ্ধপরিকর ভারত। মোদী বারংবার নিজের বিভিন্ন ভাষণে বলছেন, ‘দোষীদের সাজা দেওয়া হবেই’। এই আবহে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করে তাঁদের সামরিক পদক্ষেপের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর গতকাল নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে আজ বৈঠক রলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সাথেও দেখা করেছিলেন।

জানা গিয়েছিল, সম্প্রতি কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছ দিয়ে ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান টহল দিয়েছিল। পাকিস্তানি বিমানবাহিনী সেই রাফালের টের পেতে পেতে ভারতের টহলদারি শেষ হয়ে যায়। পাকিস্তানের বিমান যতক্ষণে আকাশে ওড়ে, ততক্ষণে ভারতের ‘কাজ’ শেষ। কী ছিল সেই ‘কাজ’? পাকিস্তানের বুকে ভয় ঢোকানো। এর আগে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময় ভারতের বায়ুসেনা অসাধারণ কাজ করেছিল। পরে অভিনন্দন বর্তমান ১৯৭০-এর দশকের যুদ্ধবিমানে চেপেই অত্যাধুনিক এফ১৬ বিমান ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এই আবহে আসন্ন সামরিক পদক্ষেপে বিমানবাহিনীর ভূমিকা যে অ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তার একটা ইঙ্গিত আজকের এই বৈঠক থেকে মিলেছে।

এদিকে শত্রুর ড্রোন, হেলিকপ্টার, বিমান ধ্বংস করতে নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার আপদকালীন বরাত দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নেক্সট জেনারেশনের এই ডিফেন্স সিস্টেম অত্যন্ত হালকা ওজনের এবং এটি কাঁধে নিয়ে চালাতে পারবেন সেনা জওয়ানরা। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনের সময় ঘনিয়ে এসেছে? সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য একটি টেন্ডার জারি করেছে। টেন্ডার পূরণের শেষ তারিখ ২০ মে ২০২৫ রাখা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ওই টেন্ডারের আওতায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৪৮টি লঞ্চার, ৪৮টি নাইট ভিশন ডিভাইস, ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র কিনবে। বিশেষ বিষয় হল, এই ক্রয় সম্পূর্ণরূপে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-এর আওতায় করা হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা খুব কম দূরত্বে শত্রুপক্ষের বিমান বা ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *