ন্যাটো সম্প্রসারণ বন্ধের লিখিত প্রতিশ্রুতি চান পুতিন

Spread the love

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য পশ্চিমা নেতাদের কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্যে অন্যতম হলো, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনকে সদস্য না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া।শান্তি চুক্তির সঙ্গে যুক্ত রাশিয়ার তিনটি সূত্রের বরাতে বুধবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান। গত জানুয়ারিতে শপথ নেয়ার সময়ও এই কথা বলেন তিনি। এ নিয়ে বেশকিছু উদ্যোগও নিয়েছেন ট্রাম্প।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত মঙ্গলবার তিনি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ান নেতা কিয়েভের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকার করে ‘আগুন নিয়ে খেলছেন’।

গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কথা বলার পর পুতিন বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তির ব্যাপারে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। এতে যুদ্ধবিরতির সময়সহ একটি শান্তি চুক্তির রূপরেখা থাকবে।

রাশিয়া বলেছে, তারা বর্তমানে লিখিত একটি সংস্করণ তৈরি করছে এবং এতে কত সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। যুদ্ধবিরতি নিয়ে এই আলোচনার মধ্যেও রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সেনা আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে পশ্চিমারা। তারা বলছে, ‘পুতিন শান্তি চান, কিন্তু কোনো মূল্য দিয়ে নয়।’

তিনটি রুশ সূত্র রয়টার্সকে বলছে, পুতিন মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর নেতাদের কাছে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি চান। এই প্রতিশ্রুতিতে থাকবে ন্যাটোকে আর সম্প্রসারণ করা হবে না। অর্থাৎ এতে ইউক্রেন, জর্জিয়া, মলদোভা ও অন্যান্য সোভিয়েত দেশ যুক্ত থাকবে না। 

সূত্র বলছে, রাশিয়া চায় ইউক্রেন নিরপেক্ষ দেশ হিসেব থাকবে, রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। এছাড়া পশ্চিমা দেশুগলোতে থাকা রুশ সম্পদ আর জব্দ রাখা যাবে না এবং ইউক্রেনে থাকা রুশদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

একটি সূত্র বলছে, কোনোভাবে পুতিন যদি বুঝতে পারেন যে, তার নিজের মতো করে শান্তি চুক্তি হবে না, তাহলে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে এমনভাবে এগিয়ে যাবেন যাতে করে এই চুক্তি ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের কাছে মন্তব্য চেয়েছিল রয়টার্স। তবে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দফতর থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *