শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি। পর্নকান্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। সোদপুরের এক তরুণীকে বাড়িতে আটকে রেখে জোর করে পর্ন ছবিতে কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। আর সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শ্বেতা খানের। এদিকে শ্বেতা ওরফে ফুলটুসির সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবিকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়।
অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার শ্বেতাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের মহিলাকর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। এমনকী শ্বেতাকে যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল তখন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা তাকে চড় থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ। শ্বেতার উপর কার্যত রেগে ফায়ার তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা।

তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের দাবি, দলের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করত শ্বেতা। আসলে এই সব ছবি দিয়ে দলকে কালিমালিপ্ত করেছে ফুলটুসি। দাবি তৃণমূলকর্মীদের। তার কঠোর শাস্তি চান তৃণমূলের ক্ষুব্ধ কর্মীরা।হাওড়া আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্বেতাকে। আর তখনই তাকে থাপ্পড় মারার চেষ্টা করেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা।তাকে হাওড়ার কোর্ট লকআপে রাখা হয়। হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায় ফকিরপাড়ার ফ্ল্যাটে থাকত শ্বেতা। সেখানেই উত্তর ২৪ পরগনা সোদপুরের এক তরুণীকে আটকে রেখে তাকে জোর করে পর্ন ছবিতে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি রাজি না হওয়াতে তার উপর নির্যাতন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে শ্বেতা অবশ্য এসব মানতে রাজি নন।