কানপুরে নেমেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত শুভম দ্বিবেদীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানকার চেকারি বিমানবন্দরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। শুভমের স্ত্রী ও পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। শুভমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন। সন্ত্রাস দমনে লড়াই জারি থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিহতের মধ্যে ছিলেন শুভমও। শুভমের বাড়ি কানপুরে। প্রধানমন্ত্রী এদিন শুভমের স্ত্রী ঐশণ্য এবং তাঁর বাবা সঞ্জয় এবং মা সীমা দ্বিবেদীকে সান্ত্বনা দেন। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঐশণ্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে গোটা দেশ এবং সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী খুবই দুঃখিত ছিলেন। তিনি আমার কাছে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আরও একবার তিনি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাস দিয়েছেন।’ পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে ঐশণ্য বলেন, কাশ্মীরে যে শান্তি বিরাজ করছে তা সন্ত্রাসবাদীদের পছন্দ নয়। তারা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছিল। এই কারণে তারা ধর্ম জিজ্ঞাসা করার পর গুলি করেছিল।

এদিন দেখা করার পর সঞ্জয় দ্বিবেদী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে।’ পরে কানপুরের সভা থেকেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন। এদিন
ফের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। দেশের বিরুদ্ধে যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার কড়া জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মোদী বলেন, ভারত কোনও পারমাণবিক যুদ্ধে ভয় পায় না। এদিন ফের তিনি মনে করিয়ে দেন যুদ্ধবিরতির জন্য পাকিস্তানই অনুরোধ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করেছিল।’