পাঁশকুড়া–দিঘা স্পেশালকে নিয়মিত করা হোক! রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে

Spread the love

গত ৯ এপ্রিল চালু হয়েছিল পাঁশকুড়া–দিঘা স্পেশাল ট্রেন। এবার এই ট্রেনকেই নিয়মিত করার দাবি উঠল। সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আবেদন করেছিলেন বলেই দক্ষিণ–পূর্ব রেল গত ৯ এপ্রিল থেকে ৮ জুন টানা দু’মাসের জন্য ওই স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এবার এই অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা স্টেশনে বসে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়, পাঁশকুড়া–দিঘা স্পেশাল ট্রেনকে নিয়মিত করতে হবে। ওই স্পেশাল ট্রেন যাতে পাঁশকুড়ার বদলে সাঁতরাগাছি কিংবা হাওড়া থেকে চালানো যায় সেই প্রস্তাবও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে জানানো হচ্ছে।

এখন সরকারি–বেসরকারি সব স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। তাই মানুষজনের রুট এখন দিঘা হয়ে উঠেছে। যেখানে জগন্নাথধাম তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে নতুন বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান এবং সমুদ্রসৈকত। একসঙ্গে সবটা পাওয়া যাবে দিঘায়। তাই দিঘায় আসা পর্যটকরা থেকে শুরু করে জগন্নাথ ভক্ত, হোটেল মালিক সকলেরই একটাই দাবি, পাঁশকুড়া–দিঘা স্পেশাল ট্রেনকে রোজ চালানো হোক। কারণ, জগন্নাথ মন্দির হওয়ার পর থেকেই দিঘায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা লাখ লাখ বেড়ে গিয়েছে। মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের দিন থেকে সাড়ে তিনদিনে ১০ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল। মন্দিরের দু’টি গেটের সামনে বিরাট লাইন পড়ে যাচ্ছে।

এখন দিঘার হোটেলে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ এখন দৈনিক ৫৫ থেকে ৬০ হাজার পুণ্যার্থী জগন্নাথ মন্দিরে ভিড় করছেন। তার উপর ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বড় কোনও ট্যুর করার সাহস দেখাচ্ছেন না অনেকেই। তাই ভিড় বাড়ছে দিঘায়। জগন্নাথ মন্দির দেখার জন্য বাড়ছে কাতারে কাতারে ভিড়। রোজ সকাল থেকেই বিপুল মানুষের সমাগম ঘটছে। বাসে, ট্রেনে অথবা প্রাইভেট গাড়িতে করে পর্যটকরা আসছেন। তবে স্পেশাল ট্রেন যদি রোজ চালানো হয় তাহলে পর্যটকদের আসা আরও সহজ হবে। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মণ মন্দির থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‌দিঘা যেতে বেশিরভাগ মানুষজন ট্রেনই পছন্দ করেন। স্পেশাল ট্রেনটি নিয়মিত করলে মানুষজনের সুবিধা হতো। এটা ভেবে দেখুন তাঁরা।’‌

এই স্পেশাল ট্রেন নিয়মিত হোক সেই দাবি এখন উত্তরোত্তর বাড়ছে। এবার রথ আসছে। তাই দিঘায় ঢল নামবে। মানুষের আসার চাহিদা বাড়বে। সেখানে স্পেশাল ট্রেন নিয়মিত করলে মানুষের যেমন সুবিধা হবে তেমন রেলের আয়ও বাড়বে। এই বিষয়ে সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সরোজ ঘড়ার বক্তব্য, ‘‌আমাদের দাবি, ওই স্পেশাল ট্রেনটিকে নিয়মিত করা হোক। আমরা এই নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখছি।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *