পাকিস্তানকে ‘টেররিস্তান’ তকমা জয়শংকরের

Spread the love

অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে যথাযথ জবাব দিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদে ভারতের এই উত্তর সর্বদা মনে রাখবে পাকিস্তান। পাকিস্তান চাইলেও এই যন্ত্রণা কখনও ভুলতে পারবে না। এমনই পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানকে আরও একবার তোপ দাগলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আবারও পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছেন যে ফের সন্ত্রাসী হামলার উস্কানি দেওয়া হলে ভারত পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ শানাবে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট করেছেন যে পহেলগাওঁ হামলার মতো বর্বর কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিন যা যা স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

সম্প্রতি, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইইউ-এর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি কাজা কালাসের সঙ্গে এক যৌথ প্রেস কনফারেন্সে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটি দু’ টি রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত নয়। এটি আসলে সন্ত্রাসবাদের হুমকি এবং অনুশীলনের প্রতিক্রিয়া। তাই, আমি আপনাদের অনুরোধ করব যে এটিকে ভারত-পাকিস্তান হিসাবে ভাববেন না, বরং এটিকে ‘ভারত-টেররিস্তান’ হিসাবে ভাবুন।’

জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কোনও প্রকার সন্ত্রাসবাদ সহ্য করা উচিত নয়। সেই প্রেক্ষাপটে, এটাও অপরিহার্য যে আমরা কখনই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে নতি স্বীকার করব না। এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি ভাগ করা এবং আন্তঃসংযুক্ত চ্যালেঞ্জ, এবং এই বিষয়ে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া থাকা অপরিহার্য। এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা যা সকলকে প্রভাবিত করে। এটি সমাধানের জন্য দেশগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং একে অপরকে বুঝতে হবে বলেই দাবি করেন জয়শঙ্কর।

এর আগে সোমবার তিনি পলিটিকোকে বলেছিলেন যে আমরা সন্ত্রাসবাদ আর সহ্য করব না। এরপরেই সন্ত্রাসীদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আপনারা এপ্রিলে যে বর্বর কাজগুলো করেছেন, যদি সেগুলো অব্যাহত রাখেন, তাহলে প্রতিশোধ নেওয়া হবেই এবং এই প্রতিশোধ সন্ত্রাসী সংগঠন এবং সন্ত্রাসী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। জয়শঙ্কর আরও বলেন যে সন্ত্রাসীরা কোথায় আছে, তা ভারত পরোয়া করে না। যদি তারা পাকিস্তানের ভেতরে থাকে, তাহলে ভারত পাকিস্তানের ভেতরেও ঢুকে আক্রমণ করবে।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহব্যাপী ইউরোপ সফরের থাকালীন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের শূন্য-সহনশীলতা নীতি অর্থাৎ জিরো টলারেন্স পলিসি পুনর্ব্যক্ত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানের মুখোশ উন্মোচিত করার জন্য, ভারত সাম্প্রতিক পহেলগাওঁ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছানোর জন্য ৩৩টি বিশ্বের রাজধানীতে, সাতটি বহুপাক্ষিক প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *