পাকিস্তানকে ভারতের মোক্ষম জবাবের মাঝে দিল্লিকে চিঠি ঢাকার

Spread the love

সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে পর পর মোক্ষম জবাবে কুপোকাত করেছে ভারতীয় সেনা। এরই মাঝে ভারতের পূর্ব প্রান্তের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে এক কূটনৈতিক পত্র দিল্লিতে এসেছে বলে দাবি করছে মিডিয়া রিপোর্ট। সেখানে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘পুশ ইন’ বন্ধের অনুরোধ করে দিল্লিকে এক কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা।

বাংলাদেশের অভিযোগ, সীমান্তে ঠেলে (পুশ ইন) করে সেদেশে পাঠানো হচ্ছে মানুষজনকে। বাংলাদেশের প্রথম সারির মিডিয়া ‘প্রথম আলো’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০০ থেকে ৩০০ ব্যক্তিকে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তে জড়ো করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’ ঢাকার অভিযোগ, গত ৭ ও ৮ মে বাংলাদেশে পুশ ইন হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৭ মে ভারত গভীর রাতে পাকিস্তানের বুকে তাবড় এয়ারস্ট্রাইক দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। সেদিন ভারত জুড়ে সন্ধ্যার পর থেকে ছিল ‘সিভিলিয়ান ড্রিল’। এর পরের দিন ৮ মেও সীমান্তে পাকিস্তান ড্রোন হামলা করে, তার জবাব দেয় ভারত। বাংলাদেশের দাবি, ৭ ও ৮ মে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সেদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। এরপরই ৯ মে তারা দিল্লিতে পুশ ইন বন্ধের অনুরোধ করে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, সোমবার বাংলাদেশের সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মিটিংএও পুশ ইনের বিষয়টি ওঠে। ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির ( বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ, ৭ ও ৮ মে বিএসএফ ২০২ জনকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে। এই ২০২ জনকে নিয়ে ঢাকা বেশ কিছু সিদ্ধন্ত নিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে,পুলিশ ও বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই করে যাঁদেরকে বাংলাদেশি হিসাবে পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের প্রশাসনের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশের দাবি, ভারত থেকে পুশ ইন-র মাধ্যমে সেদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রোহিঙ্গারাও রয়েছেন। বিজিবির মহাপরিচালক বলেন,’ গত ২-৩ বছর থেকে ২০-২৫ বছর আগে এরা বিভিন্ন সময় নানান কাজে ভারতে গিয়েছিল’। তিনি আরও বলছেন,’ এদের মধ্যে তাদের সন্তানাদিও আছে। ভারতের আধার কার্ড ও অন্যান্য ডকুমেন্ট পেয়েছিল। কিন্তু (ভারতের) পুলিশ বা বিএসএফ তাদের ওইগুলো রেখে দিয়ে তারপরে পুশ ইন করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *