পাকিস্তানি সেনা ‘রেপ’ করেছিল বাংলাদেশে!

Spread the love

পাকিস্তানকে আক্রমণ শানিয়ে আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘দুনিয়াকে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসকে লালন-পালন করা পাকিস্তানের কাছে কিছু নেই। যেদিন থেকে পাকিস্তানের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে, সেদিন থেকে স্রেফ সন্ত্রাসবাদকে লালন-পালন করেছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই ওরা ভারতের উপরে জঙ্গি হামলা চালিয়ে আসছে।’

সেই রেশ ধরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (অধুনা বাংলাদেশ) যে অত্যাচার চালিয়েছিল পাকিস্তান, তা নিয়েও মুখ খোলেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক বছর পরে অধুনা বাংলাদেশে যে সন্ত্রাস ছড়িয়েছিল, পাকিস্তানের সেনা বাংলাদেশের (মহিলাদের) রেপ (ধর্ষণ) করেছিল, খুন করেছিল, সেটা কেউ ভুলতে পারবেন না। সন্ত্রাস এবং নরসংহারে পাকিস্তানি সেনার সবথেকে বেশি দক্ষতা আছে।’

আর মোদী সেই মন্তব্য এমন একটা সময় করেছেন, যার কয়েকদিন আগেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেয়েছে। ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, সেইসময় গণধর্ষণ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের মতো ঘটনায় আজহারুলকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছিল। আর মহম্মদ ইউনুসের আমলে বেকসুর খালাস মুক্তি পেয়েছে আজহারুল। 

তারইমধ্যে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত নির্ধারণ করা উচিত বাংলাদেশ। যত দ্রুত সম্ভব, নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত।

যদিও ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই আবহে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির তরফে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করানোর দাবি তোলা হয়েছে। একই দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যদিও ইউনুসের দাবি, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হয়ে যাবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *