পাকিস্তানের অওকাত নিয়েই খোঁচা দিলীপের!

Spread the love

পহেলগাঁও হামলার বদলা নেবেই ভারত সরকার। জোরের সঙ্গে একথা বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। গত ২২ এপ্রিল (২০২৫) জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে নারকীয় হত্যালীলা চালানো হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে একদিকে যেমন পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন তিনি, তেমনই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের অতীত ভূমিকা নিয়েও।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত অন্তত পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু, বিভিন্ন সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে যত খবর সামনে এসেছে এবং হামলার পর ভারত সরকার যা যা পদক্ষেপ করেছে, তা থেকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারতেরই এই প্রতিবেশী দেশ।

বিষয়টি সামনে আসার পরই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার তরফেও বিশেষ তৎপরতা দেখা গিয়েছে। যা দেখে ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের। সেদেশের একাধিক নেতা, মন্ত্রীকে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী, ভারত যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও পালটা হামলা পাকিস্তানের উপর চালায়নি পর্যন্ত, সেখানে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ভারতের উপর পরমাণু হামলা চালানোর পর্যন্ত হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পড়শি রাষ্ট্র!

এ নিয়ে প্রতিবেশীকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। পাকিস্তানের ‘অওকাত’ বোঝাতে তিনি বলেন, ‘ওরা অনেক সময়েই ফালতু কথা বলে। তারপর মার খেয়ে বাড়ি চলে যায়। আদৌ পরমাণু অস্ত্র আছে না ওটা পচে গিয়েছে, তা কেউই জানে না। আর ভারতকে পরমাণু বোমা দেখাবেন না। তাহলে হামলার পরদিন থেকে পাকিস্তান বলে কোনও দেশ পৃথিবীর ইতিহাস বা ভূগোলে থাকবে না।’

দিলীপ ঘোষের মতে, কংগ্রেস যখন দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল, তখন থেকেই যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হত, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস তো প্রতিঘাত করেনি কখনও, প্রেমপত্র লিখত! তাই আজ যাঁরা বলছেন বদলার কথা, তাঁরা জানেন, পারলে মোদীই পারবেন। সেই আস্থা থেকেই দাবি জানাচ্ছেন। আর মোদী প্রথম রাউন্ডেই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি কী করতে পারেন।’

তবে, পাকিস্তান যে ভারতকে আগে হামলা করার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে, সেই অভিযোগও করেছেন দিলীপ ঘোষ। যদিও তাঁর মতে, ভারত যদি হামলা শুরু করে, তাহলে তাতে পাকিস্তানেরই সমূহ বিপদ। তিনি মনে করেন, ভারত যদি একবার আক্রমণ করে তাহলে না পাকিস্তানের সেনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে, না পাকিস্তানের সরকারকে। আর এই সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরোধিতায় গোটা বিশ্ব ভারতের সঙ্গে রয়েছে। তাই পাকিস্তানেরই ভয় পেয়ে চুপ করে থাকা উচিত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *