গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই জঙ্গি হানার জবাবে ভারত গত ৭ মে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছিল। এরপরই পাকিস্তান পালটা হামলার চেষ্টা করেছিল ভারতে। পাক হামলায় ভারতের ১৬ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণও হারিয়েছিলেন। এরপর ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হয়েছিল। করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, ইসলামাবাদে আছড়ে পড়েছিল ভারতীয় মিসাইল। ৭ মে-র অভিযান এবং পরের প্রত্যাঘাতের তথ্য এবং ভিডিয়ো সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সেনা। এদিকে সংঘর্ষবিরতির এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পার। আর আজ অপারেশন সিঁদুরের নয়া ভিডিয়ো প্রকাশ করল ভারতীয় সেনা।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনা যেভাবে শক্তি দেখিয়েছে এবং পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, তাতে মনোবল ভেঙেছে শত্রুপক্ষের। একই সময়ে পাকিস্তান যখন ভারতে আক্রমণ শুরু করে, তখন ভারতীয় সেনা এমন যোগ্য জবাব দিয়েছিল যে তারা সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছিল দিল্লির কাছে। এহেন অপারেশন সিঁদুরের আরও একটি ভিডিয়ো রবিবার শেয়ার করেছে ভারতীয় সেনা। ওয়েস্টার কমান্ডের পোস্ট করা এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সন্ত্রাসীদের উচিত ‘শিক্ষা’ দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা, ‘পরিকল্পিত, প্রশিক্ষিত এবং বাস্তবায়িত। ন্যায়বিচার পরিবেশন করা হয়েছে।’
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের ওই ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, ‘এটা ন্যায়বিচার, প্রতিশোধ নয়। আমরা তাদের এমন শিক্ষা দিয়েছি যা তাদের কয়েক প্রজন্ম মনে রাখবে।’ রবিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সেনাবাহিনী এই পোস্ট করে। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কীভাবে সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের লঞ্চিং প্যাড ও পাকিস্তানি সেনার পোস্ট গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, অপারেশন সিঁদুর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে ভারতের মানসিকতা বদলে দিয়েছে এবং গোটা বিশ্ব তার সাক্ষী। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের লোকসভা আসনের নির্বাচিত সদস্য আরও বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পাকিস্তানকে খুশি করতে চেয়েছিলেন বলেই তাড়াহুড়ো করে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এদিকে বর্তমানে ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা জারি থাকলেও এখনও সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত আছে। এছাড়া পাকিস্তানের ওপর বাণিজ্য এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাও কার্যকর আছে।
