পাকিস্তানের চিন অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে শশী থারুর স্পষ্ট ভাবে বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে বেশ সচেতন যে পাকিস্তানের সমস্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ৮১ শতাংশ সরবরাহ করে চিন। অবশ্য এখানে ‘প্রতিরক্ষা’ শব্দটি খুব বেশি ভদ্র হয়ে যাচ্ছে, বরং বলা ভালো পাকিস্তানি সামরিক সরঞ্জাম। এর বেশিরভাগই প্রতিরক্ষার জন্য নয়, আক্রমণের জন্য। প্রতিটি সার্বভৌম দেশের তা করার অধিকার রয়েছে নিশ্চয়।’
এরপর সিপেক এবং বিআরআই নিয়ে মুখ খোলেন শশী। তিনি বলেন, ‘চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একক বৃহত্তম প্রকল্পটি পাকিস্তানে অবস্থিত। তথাকথিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর এমন একটি হাইওয়ে করিডোর যা চিনকে দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি বন্দরের সাথে সংযুক্ত করে। এই সড়ক দিয়ে তুলনামূলকভাবে দ্রুত এবং সস্তায় পণ্য পরিবহণ করা যায় পশ্চিম চিনে।’

থারুর আরও বলেন, ‘এই অস্ত্র বা চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের বিষয়ে আমরা সম্পর্কে অবগত, এবং আমাদের উদ্বেগ পাকিস্তানি জনগণের উন্নয়নের অধিকার নিয়ে নয়। অবশ্যই, তারা তা করতে পারে, চিনের সাথে অংশীদারিত্ব বজায় রাখা তাদের অধিকার। আমাদের বিরোধ কেবল আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর সাথে।’এদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত যে জবাব দিয়েছিল, সেই অভিযান সিঁদুরে পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছিল কম করে ১০০ জঙ্গির। তবে সেই অভিযানে খতম হওয়া পাক জঙ্গিদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে কলম্বিয়া। আর এর জেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান শশী থারুর। তিনি বলেন, ‘যাঁরা সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে, তাঁদের জন্য সমবেদনা না জানিয়ে ভারতীয় অভিযানে নিহত পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছে কলম্বিয়া সরকার। এতে আমি একটু হতাশ।