এর কয়েক ঘণ্টা আগেই যদিও পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ভারতকে ‘শান্তি বার্তা’ দিয়েছিলেন। খোয়াজা আসিফ বলেছিলেন, ‘ভারত যদি আর কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমরা আর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকব।’ তিনি কার্যত সাদা পতাকা তুলে আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের সংসদে এক বক্তব্য রাখার সময় খোয়াজা আসিফ পাকিস্তানে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এক ভাইরাল ভিডিয়ো ক্লিপে (এই প্রতিবেদনের তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।) দেখা যায় আসিফ বলছেন,’মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার ছাত্রদের কথা বলতে গেলে, নিঃসন্দেহে তারা আমাদের দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। সময় এলে প্রয়োজনে সেখানে পড়াশোনা করা তরুণদের ১০০ শতাংশ ব্যবহার করা হবে।’
ভারত যেখানে ক্রমাগত অসামরিক সাধারণ নাগরিককে বাঁচাতে তৎপর, সেখানে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেদেশের পড়ুয়াদের ‘প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় সারি’ বলে বর্ণনা করছেন। ইসমালাবাদের যুদ্ধপন্থা ঘিরে মানসিকতা খোয়াজা আসিফের বক্তব্য থেকেই সামনে আসছে।
প্রসঙ্গত, ৭ মে রাত থেকে ভারত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু করেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর আগে গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ সালে পহেলগাঁওতে জঙ্গা হামলার ঘটনার পর থেকেই ভারত নেমেছে এই অভিযানে। ওই জঙ্গি হামলার নাম আসে সংগঠন টিআরএফের। যার সঙ্গে যুক্ত লস্কর ই তৈবা। আর সেই লস্করের আঁতুরঘর পাকিস্তান। ফলত, পাকিস্তানের পর জঙ্গি শিবির টার্গেট করে তা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারত।