পাকিস্তানে করাচির একটি স্কুলে এক নারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে এক শিক্ষার্থীর পরিবার। একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারী শিক্ষককে মারধর করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৮ মে) করাচির জামশেদ কোয়ার্টার্স এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে জামশেদ কোয়ার্টার্স থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
এছাড়া এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজনদের স্কুলের ভেতরে তাকে লাঞ্ছিত করার দৃশ্য দেখা গেছে।
অভিযোগকারীর মতে, ১৬ মে একজন শিক্ষার্থীকে স্কুলে দেরিতে পৌঁছার জন্য তিনি তাকে তিরস্কার করেন এবং শাস্তি হিসাবে তাকে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন।
এর দু’দিন পরে, শিক্ষার্থীর বাবা-মা এবং এবং শিক্ষার্থীর এক আত্মীয় স্কুলে আসেন এবং নারী শিক্ষকের মুখোমুখি হন।

এফআইআরে বলা হয়েছে, নারী শিক্ষকের সাথে কথা বলার সময় শিক্ষার্থীর চাচা নিজেকে কালাকোটের এসএইচও হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শিক্ষার্থী এবং তার বাব-মায়ের সামনে অধ্যক্ষের অফিসের ভেতর শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন।
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নারী শিক্ষককে মারছেন।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ৩৮ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষক খান মেয়েলকে একটি বিদ্যালয়ের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।