‘পাকিস্তানে হিন্দু নেই?’

Spread the love

ভারত-পাক উত্তেজনার মধ্যেই, গীতিকার জাভেদ আখতার প্রতিবেশী দেশের জেনারেল আসিম মুনিরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জাভেদ আখতারের মতে, মুনির খুবই অসংবেদনশীল বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি হিন্দুদের উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, জাভেদ আখতার পাকিস্তানের কাপুরুষতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যখন কার্গিল যুদ্ধের পর তারা নিজেদের সৈন্যদের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছিল।

রাজনীতিবিদ কপিল সিব্বলের সঙ্গে কথোপকথনে জাভেদ আখতার জানান, ভারত সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকদের নিন্দা করতে চায় না, কিন্তু তাদের প্রতিনিধিদের অসংবেদনশীল মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জাভেদ বলেন, ‘কোনও দেশই একরকম থাকে না। কোনও দেশের প্রতিটি নাগরিক একই রকম হতে পারে না। যদি কোনও দেশের সরকার খারাপ হয়, তাহলে তার প্রভাব সবার আগে তার নাগরিকদের ওপরেই পড়বে… আমাদের সমস্যা শুধু সরকার, সেনাবাহিনী এবং উগ্রপন্থীদের সাথেই হওয়া উচিত। আমাদের সম্পূর্ণ সহানুভূতি থাকা উচিত তাদের সাথে যারা সরকার না সন্ত্রাসবাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।’

জাভেদ পাকিস্তানে বসবাসকারীদের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন, ‘আমি ইউটিউবে ওঁদের সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেখেছি। তিনি যে কতটা অসংবেদনশীল মানুষ, সেটা বোঝা গিয়েছে। যদি আপনি মনে করেন আমরা খারাপ, তাহলে ভারতীয়দের গালি দিন, কিন্তু আপনি বেছে বেছে শুধু হিন্দুদের কেন খারাপ কথা বলছেন? আপনারা কী বোঝেন না যে পাকিস্তানেও হিন্দুরা বাস করে? আপনার কি নিজের দেশের মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধা নেই? আপনি কেমন মানুষ? আপনি আসলে কী বলছেন, জানেন? আপনার কী কোনও বোধ নেই?’

আসিম মুনিরের বক্তব্য

জাভেদ জেনারেল আসিম মুনিরের সেই বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন, যেখানে মুনির বলেছিলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমাদের রীতিনীতি আলাদা। আমাদের ঐতিহ্য আলাদা। আমাদের চিন্তাভাবনা আলাদা। আমাদের আকাঙ্ক্ষা আলাদা।’

জাভেদ আখতার পুরনো ঘটনা স্মরণ করে বলেন, ‘আরও একটি সত্য যা পাকিস্তানিদের মেনে নিতে হবে তা হল, আমাদের কোনও সৈন্য মারা গেলে আমরা তাকে সম্মান জানাই, কিন্তু যখন পাকিস্তানি সৈন্যরা কার্গিলে মারা গেল, তখন তারা তাদের মৃতদেহ নিতেও অস্বীকার করেছিল। পাকিস্তানিরা নিজেদের সৈন্যদেরও সম্মান করে না। ভারতীয়রাই তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিল। আমাদের একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা তাদের সৈন্যদের ছবি তুলে একটি অ্যালবাম তৈরি করে পাকিস্তানিদের উপহার দিয়েছিলেন। তারা সেটি নিতেও অস্বীকার করেছিল। পরে অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা এই বিষয়টি স্বীকারও করেছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *