পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের দুই মাসের জন্য খাদ্যশস্য মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো যখন টানা আট দিন ধরে সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনাও যোগ্য জবাব দিচ্ছে এর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আবার জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান।
শুক্রবার স্থানীয় বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত ১৩টি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দু’মাস খাদ্যশস্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। কার্যত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে প্রশাসন।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। এই আক্রমণে সন্ত্রাসীরা ভারতীয় পর্যটকদের তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে খুন করে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এর পরে, ভারত সরকার এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করে এবং ভারতে আসা পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেয় পাকিস্তানও। ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। বিনিময়ে ভারতও পাকিস্তানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিস্থিতি এমন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০০ জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান। এছাড়া পঞ্জাব থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বড় শহরগুলির আকাশসীমাও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে সাইরেনও লাগানো হচ্ছে।