পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ১০ দিনেরও বেশি সময় কেটে গেছে এবং দিন যত যাচ্ছে পাকিস্তানের উদ্বেগ ততই বাড়ছে। ভারতের কড়া হুঁশিয়ারি ও পদক্ষেপে ঘাবড়ে গিয়ে পাকিস্তান এখন ‘যুদ্ধ মোডে’ চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার সম্ভাব্য পদক্ষেপের আশঙ্কায় পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বাঙ্কার খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণরেখার নিকটবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষদের বাড়িঘর খালি করতে বলা হয়েছে। সেগুলি সামরিক চৌকিতে পরিণত করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে যুদ্ধের সাইরেন লাগানো হয়েছে।
যেদিন থেকে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, সেদিন থেকেই পাকিস্তানের দম বেরিয়ে গেছে। তারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে ভুগছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে গিয়ে তারা আকুতি জানাচ্ছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করেছেন এবং সেখানেও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এরই মাঝে শনিবার পাকিস্তান ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। তারা ভারতকে ‘সতর্ক’ করে বলেছে, সিন্ধু নদে কোনও বাঁধ তৈরি হলে সেটা তারা উড়িয়ে দেবে। এরই সঙ্গে বহু পাক নেতা সরাসরি পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে বসে আছেন। এই সব ফাঁপা চ্যালেঞ্জ দেওয়ার পাশাপাশি রোজ নিয়ম করে সংঘর্ষবিরি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাক সেনা।

ভারতীয় সেনা জানাল, ৩ এবং ৪ মে’র মাঝের রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের পোস্টগুলি লক্ষ্য করে ফের গুলি চালিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেনধর, নৌশেরা, সুন্দরবনি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যরা সুশৃঙ্খল ভাবে সেই হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আর্টিলারি গোলাবারুদের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করা হল এক রিপোর্টে। এর জেরে পাক সেনার অপারেশনাল প্রস্তুতিতে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বর্তমানে মাত্র ৯৬ ঘণ্টা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদ রয়েছে। একটা সেনার ‘প্রাণ’ হল বাহিনীর জওয়ান, অস্ত্র এবং সর্বোপরি গোলাবারুদ। তবে পাক সেনার কাছে এখনও গোলবারুদই নেই সেভাবে।