পালটা হামলার দুঃসাহস দেখালে ফল ভালো হবে না। অপারেশন সিঁদুরের পর সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ভারতের সেই সাবধানবাণী না শোনায় চরম পরিণতি হল পাকিস্তানের। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ভারতের ১৫টি শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। ভারতের S 400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে বলে ভারতীয় সেনার তরফে। এমনকী ভারতের পালটা ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে ভারতের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার সময় ভারত জানিয়েছিল ভারতের অভিযান ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট ও প্ররোচনাহীন। সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানের কোনও সেনা পরিকাঠামোকে আঘাত করা হয়নি।
সঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছিল কোনও পালটা হামলা হলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
৭ ও ৮ মের মধ্যবর্তী রাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক সৈন্য পরিকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করে পাকিস্তান। যার মধ্যে রয়েছে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃৎসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, পহলডি, ভূজ প্রভৃতি। প্রতিটি হামলা ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিষ্ক্রিয় করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংসাবশেষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি হামলার চেষ্টার প্রমাণ মিলছে।
আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে নিশানা করে অভিযান চালায়। ভারতের অভিযান পাকিস্তানি হামলার সমতুল্য ক্ষেত্র ও শক্তির ছিল। তাতে লাহৌরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি নিষ্ক্রিয় করা গিয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।
পাকিস্তান মর্টার ও শক্তিশালী গুলি ব্যবহার করে কুপওয়ালা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানি গোলাগুলিতে ৩জন মহিলা ও ৫টি শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানেও ভারত মর্টার ও গুলি ছুড়ে পাকিস্তানকে রুখতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে গুরুতর দিকে না যায় সেব্যাপারে ভারতীয় সেনা অঙ্গীকারবদ্ধ, যদি পাকিস্তানি সেনা তাকে সম্মান দেয়।