বার্তাসংস্থা সামরিক বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, গতকাল রাতে, যখন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠানোর চেষ্টা করে, তখন সেই হামলাকে প্রতিহত করে ভারত। উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নাগরোটা এবং পাঠানকোট এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ইউনিট সফল ভাবে প্রতিটি পাকিস্তানি হামলা ব্যর্থ করে দেয়।
গতরাতের অভিযানের সময় ৫০টিরও বেশি ড্রোন সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছিল ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এই লড়াইতে L-70 বন্দুক, Zu-23mm, Schilka সিস্টেম এবং অন্যান্য মার্কিন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল। আকাশপথে ভারতে হামলা চালানো যে কতটা কঠিন, ভারতীয় সামরিক বাহিনী তা গতরাতে পাকিস্তানকে হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ধর্ম জিজ্ঞেস করে ২৫ জন পর্যটক এবং এক স্থানীয়কে খুন করে। এর জবাবে ভারত ৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। সেই অভিযানে প্রায় ১০০ জনের জঙ্গিকে খতম করে ভারত। আর এরপর থেকেই পাকিস্তানের তরফ থেকে শেলিং শুরু হয় ভারতের ওপর।

অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের শেলিংয়ে ভারতের অন্তত ১৬ জন নাগরিকের মৃত্যু ঘটে। এর জবাবে ভারতও পালটা শেলিং চালিয়েছে। এরই মধ্যে ৭-৮ মে-র মাঝের গভীর রাতে পাকিস্তান ভারতের ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে ভারত সেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করে এস ৪০০ সুদর্শন চক্র ব্যবহার করে
৯ মে পাকিস্তানের হামলার জবাবে ভারত পড়শি দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাডার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরই সঙ্গে সর্বদল বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। এরই পরে পাকিস্তানের তরফ থেকে ৯ মে জম্মু থেকে জয়সলমেরে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভারত ধ্বংস করে দেয় বলে দাবি করা হয় বিভিন্ন রিপোর্টে। এছাড়া পাক মিসাইল এবং ড্রোনও ধ্বংস করে ভারত। এই হামলার জবাবে পাকিস্তানের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে ভারত।